শেয়ার বাজারের ধসে আর্থিক মন্দার অশনি সঙ্কেত
টাকার রেকর্ড পতন ধস নামিয়েছে শেয়ার বাজারে। একধাক্কায় নিফটি পড়েছে চার শতাংশ। গত দু-বছরে এমন ঘটনা বেনজির। গত এক সপ্তাহে বারবার শেয়ার বাজারের অস্বাভাবিক পতনে অশনিসঙ্কেত দেখছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। দাওয়াই হিসেবে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সিআইআই।
টাকার রেকর্ড পতন ধস নামিয়েছে শেয়ার বাজারে। একধাক্কায় নিফটি পড়েছে চার শতাংশ। গত দু-বছরে এমন ঘটনা বেনজির। গত এক সপ্তাহে বারবার শেয়ার বাজারের অস্বাভাবিক পতনে অশনিসঙ্কেত দেখছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। দাওয়াই হিসেবে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সিআইআই।
টাকার রেকর্ড পতনে শুক্রবার ধস নামে শেয়ার বাজারে। একদিনে সর্বাধিক পতনের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে নিফটিতে। যা হার মানিয়েছে গত দু-বছরের যাবতীয় সংখ্যাতত্ত্বকে। এইচডিএফসি থেকে রিলায়েন্স, পতনের ধাক্কায় বেসামাল সবাই।
সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে শেয়ার বাজারের ক্রমাগত পতন। গত সপ্তাহে চার বার পড়েছে বাজার। মোট পতনের হার দাঁড়িয়েছে ৭.৭%।
অর্থনীতির এই বিপজ্জনক অবস্থার জন্য সরকারকেই দায়ী করেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।
টাকার পতন রোখার একের পর এক অসফল চেষ্টা চাপ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এফডিআই-এর ক্ষেত্রেও ছবিটা মোটেই সুখের নয়।
মার্চে শেষ হওয়া আর্থিক বছরে এফডিআই নেমে এসেছে ৩৬.৯ বিলিয়ন ডলারে। গত বছর যা ছিল ৪৬.৬ বিলিয়ন ডলার।
এই অবস্থায় ভারতীয় অর্থনীতির হাল ফেরাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইয়ের ওপরই ভরসা রাখছে শিল্পমহল।
যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াই রাশ টানছে বিদেশি বিনিয়োগের ওপর। দেশের কোনও নাগরিক কিংবা সংস্থা কত পরিমাণে বিনিয়োগ করতে পারবে, তাতে লাগাম টানা হয়েছে গত সপ্তাহে ঘোষিত আরবিআই-এর নির্দেশিকায়। সোনা আমদানির ওপরও বসেছে বিধিনিষেধ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজার আরও খারাপের দিকেই যাচ্ছে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
বিশ্ববাজারের কঠিন অবস্থায় ভারতীয় অর্থনীতিকে রক্ষার উপায় কী, এখন এই প্রশ্নেরই উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। জবাব শিগগিরই না পাওয়া গেলে, পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হওয়ার আশঙ্কাই জোরালো হচ্ছে।