‘মানুষের স্বার্থে’ সরকার গড়ুক শিবসেনা, ‘সবুজ সংকেত’ দিয়ে পাশে থাকার বার্তা এনসিপি-র
এনসিপি-র মুখপাত্র নবাব মালিক জানান, বিকল্প পথ তখনই খুলতে পারে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন দল মানুষের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবে। বিজেপিকে ছাড়া সরকার তৈরির চিন্তাভাবনা করলে এনসিপি-র তরফে ইতিবাচক বার্তা মিলতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধরি মাছ না ছুঁই পানি, এই অবস্থানে দাঁড়িয়ে শরদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস। অন্যদিকে এখনও দর কষাকষিতে লেগে রয়েছে শিবসেনা। ৫০-৫০ ফরমুলায় বিজেপি যখন নিমরাজি, বাধ্য হয়েই সেনার হুঁশিয়ারি, বিজেপিকে ছাড়াই সরকার গড়তে সক্ষম তারা। হাত ধরতে রাজি শরদ পাওয়ারের। এমতাবস্থায় ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিয়ে রাখলও এনসিপি-ও।
এনসিপি-র মুখপাত্র নবাব মালিক জানান, বিকল্প পথ তখনই খুলতে পারে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন দল মানুষের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবে। বিজেপিকে ছাড়া সরকার তৈরির চিন্তাভাবনা করলে এনসিপি-র তরফে ইতিবাচক বার্তা মিলতে পারে। অর্থাত্ শিবসেনার কোর্টেই বল ঠিলে দিলেন নবাব মালিক। আগামী ৭ নভেম্বর শেষ হচ্ছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভার মেয়াদ। এর মধ্যে সরকার না গড়তে পারলে রাষ্ট্রপতি শাসনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরের মানচিত্র প্রকাশ করল কেন্দ্র
নবাব মালিক জানান, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে গণতন্ত্রকে হত্যার অনুমতি দিতে পারি না। সরকার গড়তে প্রস্তুত এনসিপি। শিবসেনা তাদের অবস্থান শুধু স্পষ্ট করুক। উল্লেখ্য, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। হরিয়ানায় দুষ্মন্ত চৌটালার জেজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে হরিয়ানায় সরকার তৈরি করে বিজেপি। কিন্তু বাধ সাধে মহারাষ্ট্রে। বিজেপি ও শিবসেনা জোট শরিকের হাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে দড়ি টানাটানিতে নিজেদের মধ্যেই জলঘোলা করছে শিবসেনা ও বিজেপি। ৫০-৫০ ফরমুলায় অর্থাত্ আড়াই বছর মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রীত্ব দাবি করে শিবসেনা। উদ্ধব পুত্র আদিত্যনাথ
ঠাকরেকে ওই পদে বসাতে চায় তারা। কিন্তু দেবেন্দ্রই ফের পূর্ণ মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে দাবি বিজেপির। ইতিমধ্যে ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।