দলের আপত্তি সত্ত্বেও 'হিন্দু পাকিস্তান' মন্তব্যে অনড় শশী থারুর
২০১৯ সালে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে জিতলে ভারতীয় সংবিধান সুরক্ষিত থাকবে না, মন্তব্য থারুরের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাইকম্যান্ড সতর্ক করলেও নিজের অবস্থান থেকে সরলেন না না শশী থারুর। 'হিন্দু পাকিস্তান' মন্তব্যের পক্ষেই জোরাল সওয়াল করলেন তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর ব্যাখ্যা, ''আমি কেন ক্ষমা চাইব? ওরাই তো হিন্দু রাষ্ট্রের প্রচার করছে।''
তিরুবনন্তপুরমে 'ভারতীয় গণতন্ত্রের বিপদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে শশী থারুর বলেন,''২০১৯ সালে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে জিতলে ভারতীয় সংবিধান সুরক্ষিত থাকবে না। ওরা নতুন সংবিধান লিখতে চলেছে। আর ওই নতুন সংবিধানে থাকবে হিন্দু রাষ্ট্রের নীতি। সংখ্যালঘুদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। তৈরি হবে হিন্দু পাকিস্তান। এজন্য স্বাধীনতার লড়াইয়ে সংগ্রামে অংশ নেননি মহাত্মা গান্ধী, নেহরু, সর্দার পটেল, মৌলানা আজাদের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীরা।'' থারুরের যুক্তি, ''রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় নিজেদের নীতি প্রণয়ন করতে পারছে না গেরুয়া শিবির। তবে ৪-৫ বছরে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে।''
তবে শশী থারুরের মন্তব্য থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র জুহি চর্তুবেদী বলেন, ''এটা ওনার ব্যক্তিগত অবস্থান। তবে দল বিশ্বাস করে সকলেরই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে।'' সূত্রের খবর, দলের তরফে তাঁকে সংযত ও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস শশী থারুরের পাশে না দাঁড়ালেও নিজের বক্তব্যে অনড় তারুর। তাঁর কথায়, ''এটা স্পষ্ট বিজেপি হিন্দু রাষ্ট্র চায়। এটাই ওদের আদর্শ। দীনদয়াল উপাধ্যায়কে অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। দীনদয়াল উপাধ্যায় কোনওদিনই ভারতীয় সংবিধানে বিশ্বাস রাখতেন না। হিন্দুদের নিয়েই সংবিধান ও দেশ গঠন করা উচিত বলে মনে করেন এই নেতারা।''
শশী থারুরের মন্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি করেছেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র।
MR Sashi Tharoor says India will become “Hindu-Pakistan” if BJP returns to power in 2019!
Shameless @INCIndia doesn’t lose any opportunity to demean India & defame the Hindus!
From “Hindu terrorists” to “Hindu-Pakistan” the Pak appeasing policies of Cong are unparalleled!— Sambit Patra (@sambitswaraj) July 11, 2018
আরও পড়ুন- নেট নিরপেক্ষতায় নতুন নীতিতে অনুমোদন টেলিকম কমিশনের