কেন্দ্র-রাজ্যের সমন্বয়ের অভাবেই সফল বিস্ফোরণ?
হায়দরাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে বিতর্ক। রাত পোহাতেই বদলে গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের বক্তব্য। আজ সকালে শিন্ডে জানান, কেন্দ্র সরকারের কাছে সতর্কতা থাকলেও এতবড় নাশকতার নির্দিষ্ট কোনও তথ্য তাঁরা পাননি। প্রশ্নটা উঠছে, কারণ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা-এনআইএ আগেই হামলার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে।
হায়দরাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে বিতর্ক। রাত পোহাতেই বদলে গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের বক্তব্য। আজ সকালে শিন্ডে জানান, কেন্দ্র সরকারের কাছে সতর্কতা থাকলেও এতবড় নাশকতার নির্দিষ্ট কোনও তথ্য তাঁরা পাননি। প্রশ্নটা উঠছে, কারণ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা-এনআইএ আগেই হামলার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। গতকালই বিস্ফোরণের পর সুশীল কুমার শিন্ডের দাবি করেছিলেন, সব রাজ্যের মতোই তথ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল অন্ধ্র সরকারের কাছেও। যদিও, এমন কোনও সতর্কবার্তা তারা পাননি বলে দাবি করেছিলেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি। প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্র-রাজ্যের সমন্বয়ের অভাবেই কি চলে গেল ১৪টি প্রাণ? একটু সতর্ক হলে কি এড়ানো যেত হায়দরাবাদ বিস্ফোরণ?
প্রথমে আজমল আমির কসাভ। তারপর আফজল গুরু। আশঙ্কা ছিল এই দুজনের ফাঁসির পর বদলা নিতে দেশের যে কোনও কোণায় আঘাত হানতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে গত ১৯ তারিখই এসেছিল সতর্কবার্তা। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, বিস্ফোরক হিসেবে আইইডি ব্যবহার করেছে জঙ্গিরা। যা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে দু-তিন কিলোমিটার দূর থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল দুটি সাইকেলে। সাইকেল দুটির মধ্যে ব্যবধান ছিল মাত্র দেড়শ মিটারের। হতাহতের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যেই বেছে নেওয়া হয়েছিল সন্ধের ব্যস্ত সময়টিকে। টার্গেট করা হয়েছিল কোনার্ক থিয়েটার, দিলসুখনগর বাসস্ট্যান্ডের মতো জনবহুল এলাকা।
ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে এনআইএ এবং অন্ধ্রের কাউন্টার টেরর ইউনিট-অক্টোপাস। এনআইএ এবং এনএসজি মিলে খতিয়ে দেখবে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে বিস্ফোরণের ধরণ দেখে প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনকেই সন্দেহ করা হচ্ছে।