কার্তি-পিটার-ইন্দ্রাণীরা জামিন পেলে চিদাম্বরম নয় কেন? সিবিআই আদালতে সওয়াল সিব্বলের
কপিল আরও জানান, আইএনএক্স মিডিয়াকে বিদেশি বিনিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র চিদাম্বরমের একার ছিল না। ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নেয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ চিদাম্বরমকে আদালতে তোলার পর সিবিআই তরফের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সওয়ালে বলেন, চিদাম্বরম তদন্তে সাহায্য করছেন না। প্রশ্ন করলে চুপ করে থাকেন। বা ঘুরিয়ে উত্তর দেন। তাঁকে হেফাজতে নেওয়া জরুরি বলে জানান সলিসিটর জেনারেল। জবাবে চিদাম্বরমের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, এই মামলায় অভিযুক্ত সবাই এখন জামিনে রয়েছে। মূল অভিযুক্ত কার্তি চিদাম্বরম, আইএনএক্সের কর্ণধার পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখার্জিও জামিনে রয়েছেন বলে জানান কপিল সিব্বল। চিদাম্বরমের ক্ষেত্রে গ্রেফতারের কী প্রয়োজন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
কপিল আরও জানান, আইএনএক্স মিডিয়াকে বিদেশি বিনিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র চিদাম্বরমের একার ছিল না। ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি ওই বোর্ডের প্রধান হলেও আরও ৬ সচিবের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানান কপিল সিব্বল।
আরও পড়ুন- তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার জরুরি জানাল সিবিআই, চার্জশিট তৈরি তবুও কেন গ্রেফতার প্রশ্ন কপিলের
সিব্বল আরও বলেন, চিদাম্বরমকে গতকাল থেকে গ্রেফতার করা হলেও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ নাগাদ প্রশ্ন করা হয়। তাঁকে ১২টি প্রশ্ন করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৬টি প্রশ্ন এর আগে একাধিকবার জিজ্ঞাসা করা হয়। এরপর চিদাম্বরমের দ্বিতীয় আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ওঠেন সওয়াল করতে। তাঁর প্রশ্ন, এই মামলায় অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখার্জির বয়ানের ভিত্তিতে কীভাবে তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে চিদাম্বরম চুপ থেকেছেন তুষার মেহতা যে অভিযোগ করেন, সেই প্রসঙ্গে মনু সিঙ্ঘভি বলেন, তদন্তকারীদের পছন্দ মতো উত্তর না দিতে পারা মানে চুপ করা নয়। তাঁকে যদি ১০ বার সমন করেও না আসেন তাহলে চিদাম্বরম অসহযোগিতা করছেন বলা যেতে পারে।