পাক প্রসঙ্গে সুর চড়ালেন সোনিয়াও

ভদ্র আচরণের নীতি নিলে তবেই পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা সম্ভব। আজ কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে পাকিস্তান প্রসঙ্গে এই বার্তাই দিলেন ইউপিএ সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের ঘটনা চলতে থাকলে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখা সম্ভব নয়। পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ের আলোচনার প্রস্তাবকে খারিজ করে দিয়ে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি বৃহস্পতিবার বলেন, "পাক সেনার বর্বরোচিত আচরণের বিষয়টিই মুখ্য। যাঁরা এই নৃশংস ঘটনায় জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই আলোচনা সম্ভব।" ভারতের আবেগের কারণটিও পাকিস্তানের বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Updated By: Jan 18, 2013, 07:58 PM IST

ভদ্র আচরণের নীতি নিলে তবেই পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা সম্ভব। আজ কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে পাকিস্তান প্রসঙ্গে এই বার্তাই দিলেন ইউপিএ সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের ঘটনা চলতে থাকলে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখা সম্ভব নয়।
পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ের আলোচনার প্রস্তাবকে খারিজ করে দিয়ে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি বৃহস্পতিবার বলেন, "পাক সেনার বর্বরোচিত আচরণের বিষয়টিই মুখ্য। যাঁরা এই নৃশংস ঘটনায় জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই আলোচনা সম্ভব।" ভারতের আবেগের কারণটিও পাকিস্তানের বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
গত ৮ জানুয়ারি জম্মু কাশ্মীরের সীমান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করে ভারতে ঢুকে পড়ে পাক সৈন্য। শুধু তাই নয়, দুই ভারতীয় জওয়ানকে বর্বরোচিত ভাবে হত্যা করে তারা। ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ফলে ভারত সরকারের ওপরও চাপ বাড়ে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার। মৃত ল্যান্স নায়ক হেমরাজ সিংয়ের শিরোচ্ছেদ করে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনা। হেমরাজের শরীরের বাকি অংশ ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রের কাছে দফায় দফায় দরবার করে তাঁর পরিবার।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তোলে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। পাকিস্তান সম্পর্কিত সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলিকে গতকাল জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকালই সীমান্ত বৈঠকের আগে সেনাপ্রধান বিক্রম সিং কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, প্রয়োজন পড়লে ভারত প্রত্যুত্তর দিতেও পিছপা হবে না।

.