খরচ কাজিয়া নয়, ব্র্যান্ড মোদীকেই আক্রমণ সোনিয়ার
সোনিয়া গান্ধীর বিদেশ সফরের খরচ নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগের জেরে কংগ্রেস-বিজেপি চাপান-উতোর যখন তুঙ্গে, তখনই মোদীর রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে নাম না করে মোদীকে পরোক্ষে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। মঙ্গলবার সৌরাষ্ট্রে নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, "কেউ কেউ অন্যের করে যাওয়া কাজকে নিজের বলে চালান এবং প্রশংসার দাবি করেন।" ব্যক্তিকেন্দ্রিক আক্রমণের পথে না গিয়ে সোনিয়া গান্ধী `ব্র্যান্ড মোদি`র ইমেজকেই সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সোনিয়া গান্ধীর বিদেশ সফরের খরচ নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগের জেরে কংগ্রেস-বিজেপি চাপান-উতোর যখন তুঙ্গে, তখনই মোদীর রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে নাম না করে মোদীকে পরোক্ষে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। মঙ্গলবার সৌরাষ্ট্রে নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, "কেউ কেউ অন্যের করে যাওয়া কাজকে নিজের বলে চালান এবং প্রশংসার দাবি করেন।" ব্যক্তিকেন্দ্রিক আক্রমণের পথে না গিয়ে সোনিয়া গান্ধী `ব্র্যান্ড মোদি`র ইমেজকেই সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বুধবার কৃষক মিছিল দিয়ে গুজরাটে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরু হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী বলেন, "কেউ কেউ রাজ্যের উন্নতির খতিয়ান দেখিয়ে নিজের প্রচার চালাচ্ছেন। তবে সৌরাষ্ট্রের মানুষ জানেন যে তাঁরা কঠিন পরিশ্রম দিয়ে সারা পৃথিবীতে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।"
তবে উল্লেখযোগ্যভাবে, মোদীকে সরসরি আক্রমণের পথে গেলেন না কংগ্রেস সভানেত্রী। বিদেশ যাত্রা নিয়ে বিগত কয়েকদিনে খরচ খতিয়ান সংক্রান্ত অভিযোগের প্রত্যুত্তরও উঠে আসেনি তাঁর বক্তব্যে। বরং কেন্দ্রের উন্নয়নের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন বিরোধী পক্ষ উন্নয়নের দিকটা দেখতে পায় না। তিনি বলেন, "গুজরাটের উন্নয়নের প্রথম এবং প্রধান স্থপতি ছিলেন পণ্ডিত নেহেরু। কংগ্রেস আমলেই বেশিরভাগ উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এরাজ্যে। সর্দার সরোবর যোজনা সহ অন্যান্য প্রকল্পগুলিও কংগ্রেস আমলেই নেওয়া।" তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, "গুজরাটের উন্নয়ন সাধন করেছে কংগ্রেসই, অন্য কেউ নয়।" তাঁর দাবি, এনডিএ আমলের তুলনায় গুজরাট ৫০ শতাংশ বেশি অর্থ সাহায্য পেয়েছে ইউপিএ`র আমলেই।
সোনিয়া গান্ধীর বক্তব্য থেকে একথা স্পষ্ট বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগত আক্রমণের পথে না হেঁটে গুজরাট উন্নয়নের পথিকৃৎ হিসেবে ব্র্যান্ড মোদীর গড়ে ওঠা ইমেজকে ভেঙে দিতেই মরিয়া হবে কংগ্রেস। মোদী বিরোধী দলত্যাগী প্রাক্তন মুখমন্ত্রী কেশুভাই প্যাটেলের নবনির্মিত গুজরাট পরিবর্তন পার্টির শক্ত ঘাঁটি সৌরাষ্ট্র থেকে প্রচারাভিযান শুরু করায় কংগ্রেস ত্রিমুখী লড়াই থেকে ফায়দা তুলতে চাইছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। স্পষ্টতই, বিধানসভার ১৮২টি আসনের ম্যাজিক ফিগার ৫৮টায় পৌঁছতে ত্রিমুখী লড়াইয়ই কংগ্রেসের ভরসা।