পরিবেশ আদালতের নির্দেশে তুতিকোরিনে ফের খুলছে বেদান্তের কপার কারখানা
তামিলনাড়ু সরকারের নির্দেশ নাকচ করে বেদান্তকে সবুজ সংকেত দিয়ে দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত(ন্যাশন্যাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তামিলনাড়ু সরকারের নির্দেশ নাকচ করে বেদান্তকে সবুজ সংকেত দিয়ে দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত(ন্যাশন্যাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল)।
সাত মাস আগে বেদান্ত গ্রুপের স্টারলাইট কপার কারখানা বন্ধের দাবিতে হওয়া বিক্ষোভে পুলিসের গুলিতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। তারপরই ওই কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় তামিলনাড়ু সরকার।
আরও পড়ুন-রাতভর নিখোঁজ, সকালে কালভার্টের পাশে মিলল ব্যবসায়ীর নলিকাটা দেহ
তামিলনাড়ু সরকারের দেওয়া ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে গ্রিন ট্রাইবুন্যালে যায় বেদান্ত। এতদিনে তার রায় দিল ট্রাইবুন্যাল। ফলে সাত মাস পর বেদান্তের সমানে ফের কারখানা খোলার সম্ভাবনা তৈরি হল। তবে ট্রাইবুন্যাল নির্দেশ দিয়েছে, এলাকার উন্নয়নে বেদান্তকে ৩ বছরে মোট ১০০ কোটি টাকা খরচ করতে হবে।
গ্রিন ট্রাইবুন্যাল তামিলনাড়ু সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে জানিয়েছে, বেদান্তের কারখানা বন্ধের নির্দেশ অন্যায্য। ফলে নতুন নির্দেশিকা জারি করে তা খোলার নির্দেশ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মে তুতিকোরিনে বেদান্তের ওই কারখানার দুষণ ও সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের আন্দোলন ভয়ঙ্কর আকার ধারন করে। বিক্ষোভকারী জনতাকে বাগে আনতে পুলিস গুলি চালালে ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত বহু। সংবাদ মাধ্যমের খবর পুলিস এসএলআর থেকে জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, একজনকে মারতেই হবে এমন নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিসকে।
আরও পড়ুন-তিন বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে খুন কাকিমার, ব্যাগে মিলল রক্তাক্ত দেহ
গত কয়েক মাস ধরে বেদান্তের স্টারলাইট কপার-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন সাধারণ মানুষ। দাবি, দূষণ সৃষ্টিকারী ওই কারখানা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি কারখানার সম্প্রসারণও করা যাবে না। পরিস্থিতি বুঝে আগের দিন পুলিস কারখানার আসপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।
পুলিসের দাবি, এদিন কারখানা সংলগ্ন একটি চার্চের সামনে জড়ো হয় কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষ। তাঁরা মিছিল করে কালেক্টরের অফিসে যেতে চায়। পুলিস তাদের রুখে দেয়। তার পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা পরিস্থিতি। পুলিসের দিকে পাথর ছোঁড়ে জনতা। গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বাধ্য হয়েই পুলিস গুলি চালায়। এতে মৃত্যু হয় ১১ জনের। পরদিন রাজ্যের আরও অন্যান্য এলাকায় বিক্ষোভে ২ জনের মৃত্যু হয়। এরপরই ওই কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেয় তামিলনাড়ু সরকার।