Debashis Dhar: প্রার্থী পদ খারিজে মামলা ফেরত! সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা প্রাক্তন IPS-র....
বীরভূম কেন্দ্রে রাজ্যের প্রাক্তন পুলিসকর্তা দেবাশিস ধরকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু স্কুটিনি পর্বেই বাতিল হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন। 'এক্ষেত্রে নির্বাচনী আধিকারিক এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই গ্রাহ্য হবে। আদালতের কিছু করার নেই', পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটা ব্য়ুরো: লোকসভা ভোটে প্রার্থীপদ কেন খারিজ? প্রাক্তন IPS অফিসার দেবাশিস ধরের মামলা ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'আপনি সময় মতো 'নো ডিউস' সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জানাননি ! মনোনয়নপত্র বাতিলের মুহূর্তে আবেদন জানিয়েছেন। আপনি তো সাধারণ মানুষ নন, আইপিএস। নিয়ম কানুন জানার কথা ছিল'। নির্বাচন কমিশনের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হল মামলাকারীকে।
আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal: ভোটের আগে কেন গ্রেফতার মুখ্যমন্ত্রী, সুপ্রিম তোপের মুখে ইডি
ঘটনাটি ঠিক কী? একুশে বিধানসভার ভোটের সময়ে গুলি চলেছিল কোচবিহারের শীতলখুচিতে। তখন সেখানকার পুলিস সুপার ছিলেন দেবাশিস।এরপর তাঁর বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সম্পত্তির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। লোকসভা ভোটের মুখে আচমকাই ইস্তফা দেন কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিস সুপার। কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে ছিলেন পদত্যাগী এই IPS অফিসার।
তাহলে কি এবার রাজনীতিতে? জল্পনা চলছিলই। বীরভূম কেন্দ্রে রাজ্যের প্রাক্তন পুলিসকর্তা দেবাশিসকে প্রার্থী করে বিজেপি। বিপক্ষে তৃণমূল শতাব্দী রায়। কিন্তু স্কুটিনি পর্বেই মনোনয়ন বাতিল হয়ে গিয়েছে বিজেপি প্রার্থীর। কেন? জানা গিয়েছে, চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেও দেবাশিসকে এখনও 'নো ডিউস' দেয়নি রাজ্য় সরকার। কমিশন জানিয়েছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে 'ডিউস ক্লিয়ার' ছিল না। সেকারণেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৩৬ নম্বর ধারায় বাতিল করা হয়েছে বীরভূমে বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন।
প্রার্থী খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মামলা করেছিলেন দেবাশিস। আজ, মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্টের মতে, 'এক্ষেত্রে নির্বাচনী আধিকারিক এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই গ্রাহ্য হবে। আদালতের কিছু করার নেই। আপনার মনোনয়ন বৈধ বলে রায় দিলে এমন বহু প্রার্থী আদালতে ভিড় করবেন'।
আরও পড়ুন: Ramdev: পতঞ্জলির বহু প্রোডাক্টই বাতিল করল সরকার! এবার কি জেলে যাবেন রামদেব?
এর আগে, যেদিন মনোনয়ন বাতিল হয়, সেদিনই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের প্রাক্তন পুলিসকর্তা দেবাশিস। কিন্তু মামলা দায়ের অনুমতি তো দূর অস্ত, মামলাকারী আইনজীবীর বক্তব্য না শুনেই এজলাস ছাড়েন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য়। এরপর দেবাশিসকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। দ্রুত শুনানির আর্জি অবশ্য খারিজ হয়ে গিয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)