কোভিডে অনাথ শিশুদের সাহায্যে সময় চাইল কেন্দ্র, সম্মতি সুপ্রিম কোর্টের
করোনাভাইরাসে অনাথ হওয়া শিশুদের তথ্য না পেলে কেন্দ্রের তরফে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার জন্য যে শিশুরা বাবা এবং মা দু’জনকেই হারিয়েছে, তাদের দায়িত্ব নেবে কেন্দ্র। পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে তাদের লেখাপড়া, ভরণপোষণের জন্য আর্থিক সাহায্য করা হবে, এই ঘোষণা আগেই করা হয়েছিল। তবে সেই কাজ শুরু করতে কিছুটা সময় চাইল কেন্দ্র৷ সুপ্রিম কোর্টভসেই আবেদনে সম্মতিও দিয়েছে।
সোমবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের তরফে জানান হয় যে দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গ, শিশুদের তথ্য যথাযথভাবে দিচ্ছে না। করোনাভাইরাসে অনাথ হওয়া শিশুদের তথ্য না পেলে কেন্দ্রের তরফে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তাই সম্ভব হচ্ছে না।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এল এন রাও এবং অনিরুদ্ধ বসুর কাছে সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী ঐশ্বর্য ভাটি। 'পিএম কেয়ার্স ফর চিলড্রেন' প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে কেন্দ্র-রাজ্যকে একযোগে কাজ করতে হবে। কিন্তু সেই কাজে ছেদ পড়তেই এই আবেদন।
আরও পড়ুন, Private Hospital এ Vaccine দিতে ১৫০ টাকার বেশি Service Charge নয়, স্পষ্ট বার্তা Modi-র
সরকার পক্ষের আইনজীবী এও জানান যে প্রতিটি রাজ্যের জেলাশাসকদের কাছে এই তথ্য থাকার কথা যে কত জন শিশু কোভিডে অনাথ হয়েছে। এমনকী পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি 'বাল স্বরাজ' প্রকল্পে তথ্যও জমা দিচ্ছে না এই দুই রাজ্য, এমনটাও জানান হয়েছে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট দিল্লিকে নির্দেশ দেয় যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কাজ করতে হবে। এই আদেশ দেওয়া হয়েছে বাংলার জন্য।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে কোভিডের জেরে যে সব শিশু অনাথ হয়েছে, তাদের বয়স ১৮ হলেই পরের পাঁচ বছর পর্যন্ত তারা মাসিক ভাতা পাবে। বয়স ২৩ হলেই তাদের ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। আরও জানানো হয়, ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত তারা পাঁচ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবে কেন্দ্রের আয়ুষ্মাণ ভারত প্রকল্পের আওতায়। বিমার প্রিমিয়ামের টাকাও দেবে কেন্দ্র। তাদের লেখাপড়ার খরচের টাকাও দেবে সরকার।