সুপ্রিম কোর্টে মিলল না স্থগিতাদেশ, তপশিলি জাতি ও উপজাতি আইন নিয়ে বিপাকে কেন্দ্র
মামলার শুনানি করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আজ মন্তব্য করে, ‘আদালত তপশিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের বিরোধী নয়। তবে এক্ষেত্রে নির্দোষ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়। যারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা আদালতের নির্দেশিকা পড়েই দেখেনি।’
নিজস্ব প্রতিবেদন: শীর্ষ আদালতে গিয়ে ধাক্কা খেল কেন্দ্র। তপশিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের প্রয়োগের উপর দেওয়া নির্দেশিকার ওপর স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। ওই নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতে আবেদন করে কেন্দ্র। দশ দিন পরে এই মামলার ফের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
Supreme Court refuses to stay its order on SC/ST Act, asks all parties to submit detailed replies within two days; matter to be heard after 10 days. pic.twitter.com/2Is9Vosusa
— ANI (@ANI) April 3, 2018
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ তপশিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন আইনের কয়েকটি ধারার উপর কিছু নির্দেশিকা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে বলা হয়, ওই আইনে কোনও সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করতে গেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নিতে হবে। পাশাপাশি তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের উপরে কোনও অত্যাচারের ঘটনায় মামলা করতে গেলে ডিএসপি পর্যায়ের তদন্ত করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশিকা জারির পরই দেশজুড়ে বনধ ডেকে দেয় দেশের বেশ কয়েকটি দলিত সংগঠন। সোমবার সেই বনধ ভয়ঙ্কর চেহারা নেয়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় উত্তর ভারতের একটি বিরাট অংশ। পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাধ্য হয়েই কেন্দ্র গতকালই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে।
There has been violence & people have died. Those responsible are people who've been rejected by Dalits, whether it is Cong or BSP. We will do an inquiry & give report to govt. Action will be taken against culprits: RS Katheria, Chairman, SC/ST National Commission #BharatBandh pic.twitter.com/H4OA0cgodT
— ANI (@ANI) April 3, 2018
আরও পড়ুন-মসুলে নিহত ভারতীয় শ্রমিকদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
মঙ্গলবার ওই মামলায় সওয়াল করতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল বলেনন, দলিত বিক্ষোভে দেশে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।
মামলার শুনানি করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আজ মন্তব্য করে, ‘আদালত তফশিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের বিরোধী নয়। তবে এক্ষেত্রে নির্দোষ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়। যারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা আদালতের নির্দেশিকা পড়েই দেখেনি।’ প্রসঙ্গত, ওই আইনের বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলায় অভিযোগ করা হয়, আইনটিকে হাতিয়ার করে কিছু নির্দোষকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার পরই ওই নির্দেশিকা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে কোনও স্থাগিতাদেশ না মেলায় আরও চাপে পড়ে গেল কেন্দ্র। দেশের সাত রাজ্যে সোমবার হিংসায় ১১ জনের প্রাণ গিয়েছে। মঙ্গলবার আদেলতের অবস্থানের পর পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই নজর সবার।