তদন্তে অসহযোগিতা, ফের CBI হেফাজতে তাপস
ফের CBI হেফাজতে তাপস পাল। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না তৃণমূল সাংসদ। তাই তাঁকে আরও জেরা করা দরকার। এই যুক্তিতে আজ তাপস পালকে ফের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় CBI। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে CBI-র আর্জি মঞ্জুর করে আদালত। সুদীপ ও তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে CBI।
ওয়েব ডেস্ক: ফের CBI হেফাজতে তাপস পাল। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না তৃণমূল সাংসদ। তাই তাঁকে আরও জেরা করা দরকার। এই যুক্তিতে আজ তাপস পালকে ফের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় CBI। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে CBI-র আর্জি মঞ্জুর করে আদালত। সুদীপ ও তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে CBI।
বলছেন, বলবেন। কিন্তু, বললেন কই? রোজভ্যালি তদন্তে CBI-র সামনে মুখই খুলছেন না তাপস পাল। আর তাই তৃণমূল সাংসদকে ফের হেফাজতে নিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ৫দিনে গ্রেফতার ২ সাংসদ। ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছে রোজভ্যালি তদন্ত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন, তাঁদের তুরুপের তাস তাপস পাল। তাই, তাপসকে ফের একবার হেফাজতে নেওয়ার লক্ষ্যে শুরু থেকেই ঝাঁপায় CBI।
সকালে ভুবনেশ্বর CBI অফিস থেকে তাপস পালকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যাপিটাল হাসপাতালে। নিয়মমাফিক মেডিক্যাল টেস্ট হয় সাংসদের। সেখান থেকে CBI-র বিশেষ আদালত। আগাগোড়া পাশে ছিলেন স্ত্রী নন্দিনী ও মেয়ে সোহিনী। সাংবাদিকদের হাজার প্রশ্নেও মুখ খোলেননি তাপস। বিকেল চারটের কিছু পর এজলাসে পৌছন তাপস। তাঁকে কাঠগড়ায় ডাকা হয়। তাপস বলতে থাকেন, তিনি অসুস্থ। অ্যাক্সিডেন্টের পর থেকে কিছুই মনে থাকে না। কিছুটা এগোনোর পর হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে যান তাপস। কোনওরকমে সামলে নিয়ে বসে পড়েন কাঠগড়াতেই। তাঁর বক্তব্য জানতে চান বিচারক। তাপস বলেন, আমার শরীর খুব খারাপ। সবসময় ওষুধ খেতে হয়। এখানে আমাকে কোনও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না।
এরপর বলতে ওঠেন CBI আইনজীবী। বিচারককে তিনি জানান, তাপস পাল তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। জেরা করতে গেলেই ওষুধ খেয়ে নিচ্ছেন। দুবার করে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে।চিকিৎসকরা বলছেন উনি সুস্থ। আমরা ওঁকে আরও জেরা করতে চাই।তাই CBI হেফাজত মঞ্জুর করা হোক।
দুপরক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর CBI-র আর্জি মেনে নেন বিচারক। তাপস পালকে ৩দিনের CBI হেফজাতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস পালকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।