প্রেমিককে মারধর, ঝাড়খণ্ডে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ ১০ জনের

প্রতীকী ছবি

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের গণধর্ষণ। এবার ঝাড়খন্ডে। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১০ জনের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই যুবতী তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে ছিল। জনা আট-দশেক লোক তাঁদের পথ আটকায়। তারপর প্রেমিককে বেধড়ক মারধর করে। শেষে ওই যুবতীকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।

নির্যাতিতা পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ঘৃণ্য এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলায়। জানা গিয়েছে, ওয়ার্ক ফ্রম হোম সেরে প্রেমিকের সঙ্গে বাইকে চড়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তখনই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় থানা জানিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে প্রশাসন। গণধর্ষণের পর ওই যুবতীকে ওখানেই ফেলে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। সেইসঙ্গে নির্যাতিতার ওয়ালেট ও মোবাইল ফোনটিও হাতিয়ে নেয়। কোনওমতে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আসেন ওই যুবতী। বাড়ি ফিরে সবকথা খুলে বলেন তিনি। তারপরই এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। 

প্রসঙ্গত, কদিন আগেই গাজিয়াবাদে দিল্লির বাসিন্দা এক যুবতীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। চরম নির্যাতনের শিকার হন ওই যুবতী। দিল্লির স্যাটেলাইট টাউনের সঙ্গে সংযোগকারী আশ্রম রোডের উপর থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। ৪০ বছরের ওই যুবতীর অভিযোগ, ৫ জন তাঁকে অপহরণ করে। তারপর দুদিন ধরে তাঁর উপর পাশবিক নির্যাতন চলে। তাঁকে গণধর্ষণ করে। ওই যুবতীকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন চারদিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। যৌনাঙ্গের ভিতর বিঁধে রয়েছে লোহার রড।

গাজিয়াবাদে জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। পার্টির পর ওই যুবতী গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লি ফিরছিলেন। তাঁর ভাই তাঁকে একটি বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে যান। সেখানেই তিনি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন একটি গাড়ি এসে ওই যুবতীর সামনে দাঁড়ায়। তারপর ৫ জন মিলে তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ওই ৫ জন মিলে টানা ২ দিন ধরে গণধর্ষণ করে তাঁকে। তাঁর গোপনাঙ্গে লোহার রড দিয়ে অত্যাচার করে। বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন ওই যুবতী।