বাড়িতে বকুনি খেয়ে সোজা গোয়ায়, বাবার পকেট কেটে লাখ টাকার ফুর্তি করল কিশোর
যখন তাঁর কাছে আধার কার্ড চাওয়া হয়, সে তা দেখাতে পারে না। তারপর সোজা পুনের থেকে গোয়া যাওয়ার বাস ধরে সে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বয়স মেরে কেটে ১৪। বিলাসবহুল ভাবে জীবন কাটানোই তার স্বপ্ন। কিন্তু লেখাপড়ার নামগন্ধ নেই। বছরের শেষে গোয়ার নিউ ইয়ার পালন করার সুপ্ত বাসনা ছিল তাঁর। যাকে বলে একেবারে অকালপক্ক। বাবা মা দাদুর কাছে বকুনি খেয়ে রেগে গিয়েছিলেন তিনি। তাই বাবাকে না জানিয়ে তাঁর থেকে ১.৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় ছেলে। এরপরই খোঁজ খোঁজ রব। ফোনও সুইচ অফ ছিল তাঁর। অগত্যা, থানার দারস্ত হন বাবা মা।
ড্রিমল্যান্ড গোয়া যাওয়ার জন্য ১৯ ডিসেম্বর বাড়ি ছেড়ে ছিল ওই কিশোর। কিন্তু তার ঘুরে বেড়ানোয় কাটছাট করতে হল। কারণ, খরচের পর বাকি টাকা নিয়ে যখন ড্রিমল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দৌড়াচ্ছে ওই কিশোর তখনই তাঁকে পিছন থেকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে সে ক্লাবে ঢুকে নাচানাচি খাওয়া-দাওয়া করেছে এবং আগামী দিনে আরও বিলাসবহুল জীবনের জন্য একটি সিম কার্ডও কিনেছে।
পুলিসকে ওই খুদে জানিয়েছে, সে দশম শ্রেণির ছাত্র। বাবা মা তাঁকে লেখাপড়া করা নিয়ে বকাবকি করেছিল। দাদুও বাবা মায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। সবাই সারাক্ষণ খিটখিট করছিল তার পিছনে। তাই বাড়ি ছাড়ার পরিকল্পনা করে ওই কিশোর।
পুলিস জানিয়েছে, ওই কিশোর গোয়া যাওয়ার জন্য নাছোড়বান্দা ছিল। বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা অটো-রিকসা করে রেল স্টেশন পৌঁছে যায়। সেখান থেকে গোয়া যাওয়ার ট্রেন ধরে। যখন তাঁর কাছে আধার কার্ড চাওয়া হয়, সে তা দেখাতে পারে না। তারপর সোজা পুনের থেকে গোয়া যাওয়ার বাস ধরে সে।
ওই কিশোর যখন গোয়া পথে তখন অন্যদিকে ওই কিশোরের বাবা মা নভাপুরা পুলিস স্টেশনে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরের দিন তাঁরা দেখেন বাড়ি থেকে ১.৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে তাদের গুণধর ছেলে।
পুলিস জানিয়েছে, ক্লাবে গিয়ে নাচানাচি খাওয়া দাওয়া করে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ করেছে ওই কিশোর। সে যখন বুঝতে পারল তাঁর টাকা কমে আসছে, তখন সে পুনে ফেরত এসে সিম কার্ড কেনে। এরপর গুজরাট ফেরার পরিকল্পনা করলেও বাড়ি ফিরতে চায় না।
সিম কার্ড ফোনে ঢুকিয়ে অন করতেই লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিস তাঁকে ধরে ফেলে। অগত্যা, ২৫ ডিসেম্বর রাতেই বাড়ি ফিরতে হয় তাঁকে।