পশ্চিমবঙ্গের একাধিক মাদ্রাসা যেন জঙ্গি তৈরির কারখানা, রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক জঙ্গিশিবির চালাচ্ছে জেএমবি। সেই শিবিরে নিয়মিত যাতায়াত করেন লস্কর ই তৈবার কুখ্যাত জঙ্গিরা।
![পশ্চিমবঙ্গের একাধিক মাদ্রাসা যেন জঙ্গি তৈরির কারখানা, রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পশ্চিমবঙ্গের একাধিক মাদ্রাসা যেন জঙ্গি তৈরির কারখানা, রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/07/02/199249-xbvsajbhxs.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানের মাদ্রাসাগুলিকে যুবক-যুবতীদের মগজধোলাইয়ের কাজে ব্যবহার করছে বাংলাদেশি জঙ্গিরা। সম্প্রতি এমনই এক সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত উল মুজাহিদিন এই মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করছে বলে সতর্ক করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক জঙ্গিশিবির চালাচ্ছে জেএমবি। সেই শিবিরে নিয়মিত যাতায়াত করেন লস্কর ই তৈবার কুখ্যাত জঙ্গিরা। শুধু আত্মগোপনের জন্যই নয়, এই এলাকা থেকে সংগঠনে লোকও নিয়োগ করছে তারা। আর এই হচ্ছে মাদ্রাসা ও মসজিদগুলি থেকে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলার মাদ্রাসাগুলিকে মূলত নিশানা করেছে জঙ্গিরা। এছাড়া অসমের মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলিতেও চলছে একই কায়দায় নিয়োগ।
২০১৪-র অক্টোবরে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর প্রথম পশ্চিমবঙ্গে জেএমবির উপস্থিতি টের পান গোয়েন্দারা। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে NIA. গত সপ্তাহেও কলকাতা ও বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার হয়েছে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত ৫ জঙ্গিকে। মঙ্গলবারও পূর্ব বর্ধমান থেকে গ্রেফতার হয়েছে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহভাজন জঙ্গি আবদুল রহিম।
পুলিসকে ছাড়াই দল চালান, সব কিছু ওদের জানানোর দরকার নেই, বিধায়কদের বললেন মমতা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতে গণতান্ত্রিক সরকার ফেলে সেখানে শরিয়া প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করছে জেএমবি। সেজন্য এরাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় গোপন আস্তানা তৈরি করেছে তারা।