'আব কি বার দিল্লিমে আপ কি সরকার'- ঐতিহাসিক জয়ের পরেও ভীত কেজরিওয়াল
বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত ছিল জয়ের। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরঙ্কুশতা ঠিক এতটাও মাত্রা ছাড়া হয়ে সেটা বোধহয় আশা করেন আপ সুপ্রিমো স্বয়ং অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।
ওয়েব ডেস্ক: বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত ছিল জয়ের। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরঙ্কুশতা ঠিক এতটাও মাত্রা ছাড়া হয়ে সেটা বোধহয় আশা করেন আপ সুপ্রিমো স্বয়ং অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। এখনও পর্যন্ত গণনার ফল যা জানা যাচ্ছে তাতে দিল্লি নির্বাচনে ৬৫টি আসনে এগিয়ে আছে আম আদমি পার্টি। টিমটিম করে মাত্র ৪টি আসন দখলের পথে বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেসের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য। অনান্যদের দখলে ১টি আসন। বিপুল সাফল্যের পটভূমি যখন এক প্রকার নিশ্চিত,উৎসবের মেজাজে যখন আপ কর্মী সমর্থকরা মাতোয়ারা, ঠিক তখনই এত আনন্দের মাঝেও ভিত কেজরিওয়াল। তাঁর আশঙ্কা 'সত্যের' যে পথে হেঁটে এই জয় তাঁর দল লাভ করেছে সেই সাফল্যের স্বাদে উন্মত্ত হয়ে কর্মী-সমর্থকরা যেন বিপথগামী হয়ে না যান। আন্না হাজারের একদা মানসপুত্র কেজরিওয়াল তাই বারবার পার্টি কর্মী-সমর্থকদের অনুরোধ করেছেন এই জয় যেন তাঁদের ঔদ্ধত্যের কারণ না হয়ে যায়।
দিল্লিতে দলের ধরাশায়ী অবস্থা নিশ্চিন্ত জেনে ইতিমধ্যে রাজধানীর হবু মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে ফোন করে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সবধরনের কেন্দ্রীয় সাহায্যের।
আপ-এর ঝাড়ুর দাপটে পদ্মফুলের সমূলে উৎপাটন শুধু বিজেপি দল নয় বস্তুত ব্যক্তি মোদীর কাছেও বিরাট ধাক্কা। ৯ মাস আগে 'আচ্ছে দিন'-এর ধুঁয়ো তুলে কেন্দ্রে সরকার দখল করার পর থেকে একের পর এক বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে শুধুই মোদী ম্যাজিকের মহিমা। দিল্লির ফলাফল কিন্তু এবার সেই ম্যাজিকের বাস্তবতাকেই সরাসরি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল। মোদী-অমিত শাহ কম্বোর জয়ের রথ দিল্লিতে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল মাত্র দু'বছর বয়স্ক একটি রাজনৈতিক দলের কাছে।
আগের বার ৪৯ দিনের সরকারের পর সারা দেশ জুড়েই সমালোচনা আর হাসির খোরাক হয়েছিলেন আম আদমি পার্টি তথা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অপরিপক্ক, হঠকারীর তকমা ভাগ্যে জুটেছিল তাঁর। কিন্তু সেই সব সমালোচনা ঠাট্টা যে মিথ্যে হতে চলেছে তার ইঙ্গিত মিলেছিল বুথফেরত সমীক্ষায়। ৪৯ দিনের ইতিহাস ভুলে দিল্লি আম আদমি বিপুলভাবেই ভরসা রেখেছে আপে-এর উপরই।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ইস্তফা দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ এই বছর সেই ১৪ ফেব্রুয়ায়িরই সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি? পোয়েটিক জাস্টিস বোধহয় একেই বলে।