আগে যাঁরা শিক্ষক ছিলেন এবার হবেন সাফাইকর্মী, মালি, রাঁধুনি! আদালতের নির্দেশের অপেক্ষা
২০১০ ও ২০১৪ সালে ১০৩৫ জন পিজিটি, ৪৬৬৬ জন টিজিটি ও ৪৬১২ জন ইউজিটি শিক্ষক নিয়োগ করেছিল ততকালীন ত্রিপুরা সরকার। নিয়োগ হয়েছিল মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০০৩ সালের এমপ্লয়মেন্ট পলিসি-র নিয়ম মেনে তাঁদের নিয়োগ হয়েছিল। কিন্তু হাই কোর্ট সেই নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন- এক সময় তাঁরা ছিলেন শিক্ষক। সেসব অতীতের কথা। এখন আর তাঁরা শিক্ষক নন। বাম আমলে তাঁদের বেআইনি পথে নিয়োগ হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার আসার পরই ওই শিক্ষকদের নিয়োগ নিয়ে মামলা করে। আদালতের নির্দেশে চাকরি হারান দশ হাজার শিক্ষক। সেই শিক্ষকদের প্রতি আবার দয়াও দেখিয়েছিল ত্রিপুরার বর্তমান সরকার। তাঁদের চাকরি ফেরানোর জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় বিপ্লব দেবের সরকার। তবে আর তাঁদের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হবে না। দশ হাজার গ্র্যাজুয়েট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ও আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রাক্তন শিক্ষকদের সাফাইকর্মী, মালি, রাঁধুনি, নাইট গার্ড, পিওন-এর পদে ফেরানো হতে পারে।
২০১০ ও ২০১৪ সালে ১০৩৫ জন পিজিটি, ৪৬৬৬ জন টিজিটি ও ৪৬১২ জন ইউজিটি শিক্ষক নিয়োগ করেছিল ততকালীন ত্রিপুরা সরকার। নিয়োগ হয়েছিল মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০০৩ সালের এমপ্লয়মেন্ট পলিসি-র নিয়ম মেনে তাঁদের নিয়োগ হয়েছিল। কিন্তু হাই কোর্ট সেই নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দেয়। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টকে নির্দেশ দেয়, নিয়োগের ক্ষেত্রে যেন নতুন পলিসি বলবত্ করা হয়। ২০১৭ সালে নিয়োগ বাতিল হলেও ত্রিপুরার সরকার শিক্ষকদের চাকরি থেকে সরায়নি। কারণ রাজ্যে শিক্ষকের অভাব ছিল সেই সময়। তা ছাড়া বিজ্ঞাপন দিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা সেই সময় সম্ভব ছিল না। ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত চাকরি খোয়ানো শিক্ষকদেরই রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ত্রিপুরা সরকার।
আরও পড়ুন- যাঁর বিরুদ্ধে মামলা লড়ছেন, তাঁকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন সচিন
এবার চাকরি হারানো শিক্ষকদের সাফাইকর্মী, মালি, রাঁধুনি, নাইট গার্ড, পিওন-এর পদে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে হাই কোর্টে সবেমাত্র আবেদন করেছে ত্রিপুরা সরকার। এখনও আদালত রায় দেয়নি এই ব্যাপারে। ১০, ৬১৮টি শূন্যপদ রয়েছে। সেখানে চাকরিপ্রার্থী হিসাবে আবেদন করতে পারবেন চাকরি হারানো শিক্ষকরা। তবে ত্রিপুরা সরকার জানিয়ে দিয়েছে, শিক্ষক হিসাবে তাঁদের এত বছরের অবদানের কোনও মান্যতা দেওয়া হবে না। কারণ তাঁদের নিয়োগ হয়েছিল বেআইনি পথে। কোনো পেশাই ছোট নয়। তবুও এক সময়ের শিক্ষকদের পক্ষে গ্রুপ ডি পদে কাজ করা কতটা সম্মানের! উঠছে প্রশ্ন।