টিআরএস কংগ্রেসের ‘জেরক্স কপি’, কেসিআর-কে তুলোধনা মোদীর
আগামী ৭ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। মোট ১১৯টি আসনে লড়ছে বিজেপি, টিআরএস এবং ‘মহাজোট’ কংগ্রেস-তেলঙ্গনা জন সমিতি-টিডিপি-সিপিআই। মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কেসিআর

নিজস্ব প্রতিবেদন: টিআরএস সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাও বলেছিলেন, কংগ্রেস-বিজেপি ‘ভাই-ভাই’। নির্বাচনী প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদীর পাল্টা কটাক্ষ, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে’ নেমেছে কংগ্রেস-টিআরএস।
নিজ়ামাবাদে সোমবার নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদী কটাক্ষ করে বলেন, কেসিআরের তেলঙ্গনা রাষ্ট্র সমিতি কংগ্রেসের ‘জেরক্স কপি’। কংগ্রেস-টিআরএস-এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ‘মিল’ তুলে ধরেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, দু’দলই উন্নয়নে ব্যর্থ। কংগ্রেস এবং টিআরএসের অন্দরে গণতন্ত্র নেই। সংখ্যালঘু তোষণে সিদ্ধহস্ত তারা। হায়দরাবাদ থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে নির্বাচনী সভায় নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, ৫০-৫২ বছর শাসন করে কংগ্রেস যেমন কিছুই করেনি, টিআরএস-ও একই পথে হাঁটছে। কে চন্দ্রশেখর রাও এবং তাঁর পরিবার যদি ভেবে থাকে কাজ না করে ফের ক্ষমতায় আসবে, এ বার তা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন- রাজস্থানে কংগ্রেসের পরিস্থিতি বিনা বর ছাড়া বরযাত্রীর মতো, রাহুলকে কটাক্ষ রাজনাথের
আগামী ৭ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। মোট ১১৯টি আসনে লড়ছে বিজেপি, টিআরএস এবং ‘মহাজোট’ কংগ্রেস-তেলঙ্গনা জন সমিতি-টিডিপি-সিপিআই। মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কেসিআর। নির্বাচন এগিয়ে আনতে কেসিআর-এমন কৌশলের সমালোচনা করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জ্যোতিষ বিশ্বাস করেন, পূজাপাঠে ব্যস্ত থাকে, লঙ্কা-লেবু বাঁধেন।” মোদী আরও বলেন, যখন আয়ুষ্মান ভারত চালু করা হয়, নিজের রাজ্য অন্তর্ভুক্ত করবেন কিনা তা নিয়ে ধন্দে থাকেন কেসিআর। সব সময় ভয়ে রয়েছেন, তাঁর রাজ্যে মোদী কেয়ার এলে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রত্যাখ্যান করবে জনগণ।
আরও পড়ুন- ইসলামাবাদের সার্ক সম্মেলনে মোদীকে আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে পাকিস্তান
উল্লেখ্য, মেরুকরণের রাজনীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেসিআরকে বলতে শোনা যায়, কংগ্রেস-বিজেপি ভাই ভাই। ‘হিন্দু-মুসলিম’ রোগে আক্রান্ত দুই দলই। তাঁর রাজ্যে কর্মক্ষেত্রে মুসলিম জনসংখ্যার ১২ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর রাও। তাঁর অভিযোগ, বাধ সাধে কেন্দ্র। বিজেপির জন্য প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা পাল্টা দাবি, এ ধরনের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি অংসবিধানিক। তেলঙ্গানার জনগণ মেনে নেবে না।