চূড়ান্ত দুর্নীতি, মিড ডে মিলের সাড়ে ১১ কোটি টাকা চুরি করেছেন শিক্ষক!
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের। রেহাই পেলেন না শিক্ষা দফতরের কয়েকজন কর্মীও।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে মিড-ডে মিল প্রকল্পে 'দুর্নীতি'। সরকারি প্রকল্পে বরাদ্দ সাড়ে ১১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেন শিক্ষকই! অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিস। রেহাই পেলেন না শিক্ষা দফতরের কয়েকজন কর্মীও।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম চন্দ্রকান্ত মিশ্র। বাড়ি, উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলার শিকোহাবাদ এলাকায়। নিজেকে স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি।
মিড-ডে মিলের টাকা কীভাবে আত্মসাৎ করলেন? পুলিসের দাবি, রেশন কার্ড-সহ বিভিন্ন ভুয়ো নথি ব্যবহার করে এনজিও খুলেছিলেন চন্দ্রকান্ত। নাম, সারস্বত আওয়াশিয়া শিক্ষা সেবা সমিতি। নিজের বাবাকেই সেই এনজিও-র সভাপতি করেছিলেন তিনি। মা ছিলেন ম্যানেজার, আর স্ত্রী কোষাধ্যক্ষ। শুধু তাই নয়, জীবিত থাকা সত্ত্বেও মাকে মৃত বলেও ঘোষণা করেছিলেন!
তারপর? অভিযোগ, চুক্তির ভিত্তিতে ফিরোজাবাদ জেলার সমস্ত স্কুলের মিড-ডে মিল প্রকল্পের খাবার সরবরাহ করার দায়িত্ব নেন চন্দ্রকান্ত। কিন্তু খাবার সরবরাহ তো দূর, উল্টে এনজিও-র নাম করে সরকারি প্রকল্পে ১১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি! জেলাশাসক রবি রঞ্জন জানিয়েছেন, 'সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নজরে আসে। মামলা দায়ের করেছে পুলিস। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।
আরও পড়ুন: ফের উদ্ধবকে আক্রমণ শিন্ডের! তাঁরা 'বিশ্বাসঘাতক' কি না প্রশ্ন জনতাকে...
এর আগে, উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের একটি সরকারি স্কুলের মিড-ডে মিলের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিল যোগী সরকার। কেন? ভিডিয়ো-তে দেখা গিয়েছিল, স্কুলে সার দিয়ে বসে রুটি আর নুন খাচ্ছে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা। অথচ সরকারি ওয়েবসাইটে মিড-ডে মিলের তালিকায় রয়েছে ভাত, রুটি এবং সব্জি! সঙ্গে ফল ও দুধও! যোগী রাজ্যে এই মিড-ডে মিলের আওতা রয়েছে ১.৫ লক্ষ প্রাইমারি ও জুনিয়র হাইস্কুল। খাতায়-কলমে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার কথা এক কোটিরও বেশি পড়ুয়ারা। তাহলে কেন রুটি আর নুন? সংশ্লিষ্ট স্কুল ও পর্যবেক্ষকের গাফলতির কথা স্বীকার করে নেন সরকারি আধিকারিক।
এদিকে এ রাজ্যে মিড-ডে আবার নিম্নমানে খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। স্রেফ স্কুলেই নয়, বাংলায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি থেকেও মিড-ডে মিল দেওয়া হয় শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের। অভিযোগ, সেই মিড-ডে মিলের খিচুড়িতেই নাকি পোকা! রান্নার চালে কিলবিল করছে পোকা। এমনকী, পড়ে রয়েছে আরশোলা ও টিকটিকির মলও! প্রতিবাদে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা (Deganga) ব্লকের বসনা বেনাপুরের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বিক্ষোভও দেখান অভিভাবকরা।