হ্যাক ইউপিএসসি-র ওয়েবসাইট

সোমবার রাতে হ্যাক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে নিয়োগকারী এই সংস্থাটির ওয়েবসাইট। কিছু নেটিজেন ইউপিএসসি-র ওয়েবসাইটের এই দশা দেখে মধ্যরাতে সেই ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Updated By: Sep 11, 2018, 12:17 PM IST
হ্যাক ইউপিএসসি-র ওয়েবসাইট

নিজস্ব প্রতিবেদন: ওয়েবসাইট খুলতেই একটা গোলাপি রঙের 'হার্ট সাইন' এবং জাপানি কার্টুন চরিত্র ডোরেমনের ছবি। আর কানে ভেসে আসছে হিন্দিতে ডোরেমন-এর টাইটেল সং। একদম উপরে লেখা “Doraemon!!!!!!! Pick up the Call” এবং নীচে লেখা, “I. M. STEWPEED”। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন(ইউপিএসসি)-এর ওয়েবসাইট খুলতেই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে বহু ব্যক্তির। জানা যাচ্ছে, সোমবার রাতে হ্যাক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে নিয়োগকারী এই সংস্থাটির ওয়েবসাইট। কিছু নেটিজেন ইউপিএসসি-র ওয়েবসাইটের এই দশা দেখে মধ্যরাতে সেই ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।

 

মধ্যরাতে বিষয়টি নজরে আসার পর মঙ্গলবার সকালেই সাইটটিকে পুনরুদ্ধার করা হয়। কিন্তু, কাজ চলার জন্য তারপর থেকেই ওয়েবসাইটটি 'ডাউন' হয়ে যায়। তবে এ বিষয়ে ইউপিএসসি-র তরফ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট হ্যাকিং-এর ঘটনা এই প্রথম নয়। চলতি বছরের এপ্রিলেই সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটও হ্যাক হয়েছিল। একটি ব্রাজিলিয় হ্যাকারের দল ভারতের শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছিল বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া, ২০১৭ সালে একটি পাক 'হ্যাকিং দল' শিক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের চারটি শীর্ষ কেন্দ্রীয়  প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করে সেখানে ভারত বিরোধী ছবি সেঁটে দিয়েছিল। এই সংস্থাগুলি হল- আইআইটি দিল্লি, আইআইটি বারাণসী, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গলবার সকাল থেকে ইউপিএসসি-র ওয়েবসাইটে গেলেই এই বার্তাটি দেখা যাচ্ছে।

দেশ যখন 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া'র পথে হাঁটতে চলেছে এবং আধারের মতো প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থার মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে সব লেনদেন, সামাজিক ও সরকারি কাজকে 'ডিজিটাইজড' করার প্রয়াস চলছে, তখন এমন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাকের ঘটনা বারবার সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। অনেকেই বলছেন, সু্প্রিম কোর্ট বা ইউপিএসসি-র মতো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার ওয়েবসাইটে দেশের অনেক তাত্পর্যপূর্ণ নথি সঞ্চিত থাকে। কিন্তু হ্যাকাররা অতি সহজেই তা হ্যাক করে ফেলছে। ফলে দেশের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বেআব্রু হয়ে যাওয়া নিয়ে সংশয় ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে।

.