ফের নূপুর তলোয়ারের জামিন-আর্জির রায়দান পিছল

আরুষি হত্যা মামলায় নূপুর তলোয়ারের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত রায়দান বুধবার পর্যন্ত পিছিয়ে দিল গাজিয়াবাদের বিশেষ সিবিআই আদালত। বিচারক এস লালের বেঞ্চ আরুষি তলোয়ার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তাঁর মা নূপুর তলোয়ারের জামিনের আবেদনের শুনানির পর আগামীকাল পর্যন্ত রায় পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। সিবিআই আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে মঙ্গলবারের মতোই আজও গাজিয়াবাদের দাসনা জেলে রাত্রিবাস করতে হবে নূপুর তলোয়ারকে।

Updated By: May 1, 2012, 02:25 PM IST

আরুষি হত্যা মামলায় নূপুর তলোয়ারের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত রায়দান বুধবার পর্যন্ত পিছিয়ে দিল গাজিয়াবাদের বিশেষ সিবিআই আদালত। বিচারক এস লালের বেঞ্চ আরুষি তলোয়ার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তাঁর মা নূপুর তলোয়ারের জামিনের আবেদনের শুনানির পর আগামীকাল পর্যন্ত রায় পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। সিবিআই আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে মঙ্গলবারের মতোই আজও গাজিয়াবাদের দাসনা জেলে রাত্রিবাস করতে হবে নূপুর তলোয়ারকে।
সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণের পর সিবিআই-এর তরফে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা প্রকাশ করে নূপুরের জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। এর পর নূপুর তলোয়ারের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল গাজিয়াবাদের বিশেষ সিবিআই আদালত। পত্রপাঠ গাজিয়াবাদ সিজেএম আদালতে জামিনের আবেদন জানান নূপুর তলোয়ারের আইনজীবী। এই আবেদন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জানাতে নির্দেশ দেয় গাজিয়াবাদ সিজেএম আদালত। কিন্তু নূপুর তলোয়ারের জামিনের আবেদনের শুনানি স্থগিত রাখে সিবিআইয়ের আদালত। ফলে সিবিআই আদালতের নির্দেশে দাসনা জেলের ১৩ নম্বর সেলেই রাত কাটাতে হয়েছে আরুষি ও হেমরাজ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত নূপুর তলোয়ারকে।

গত মাসে নূপুর তলোয়ারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল গাজিয়াবাদের সিবিআই আদালত। কিন্তু বিচারক প্রীতি সিংয়ের সেই নির্দেশ স্থগিত রাখাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন নূপুর তলোয়ার। কিন্তু গত শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এর পরই নূপুর তলোয়ারের জেল যাত্রা কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের মে মাসে নয়ডায় তলোয়ার দম্পতির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল আরুষি ও পরিচারক হেমরাজের দেহ। সেই ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত আরুষির মা নূপুর তলোয়ার। এর আগে একাধিকবার গাজিয়াবাদ আদালতের তরফে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করেন নূপুর। প্রসঙ্গত, এর আগে আরুষি হত্যা মামলায় তাঁর বাবা রাজেশ তলোয়ারকেও জেলে যেতে হয়েছিল। রাজেশ বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। আগামী ৭ মে তাঁর জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। সম্ভবত সিবিআই-এর তরফে রাজেশ তলোয়ারকেও জেলে পাঠানোর আবেদন জানান হবে আদালতে।

.