কে করল খুন? সঞ্জীব না ইন্দ্রাণী, উত্তর খুঁজছে পুলিস

শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে দফায় দফায় বিভ্রান্ত হচ্ছে মুম্বই পুলিস। হত্যায় মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী জানিয়েছেন, খুনের সময় তিনি গাড়িতে থাকলেও খুন তিনি করেননি। করেছেন তার প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না ও গাড়ির চালক শ্যাম রাই। অন্যদিকে, সঞ্জীব জানিয়েছেন গাড়িতে উঠে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। শিনারে শ্যাম ও ইন্দ্রাণী মিলে খুন করেন। এদিন খুনের পর যেখানে শিনার দেহ জালানো হয়েছিল সেই ঘটনাস্থলে তল্লাসি চালায় মুম্বই পুলিসের দল।

Updated By: Aug 28, 2015, 02:10 PM IST
কে করল খুন? সঞ্জীব না ইন্দ্রাণী, উত্তর খুঁজছে পুলিস
এই জঙ্গলেই পোড়ানো হয়েছিল শিনার দেহ, তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস

ওয়েব ডেস্ক: শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে দফায় দফায় বিভ্রান্ত হচ্ছে মুম্বই পুলিস। হত্যায় মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী জানিয়েছেন, খুনের সময় তিনি গাড়িতে থাকলেও খুন তিনি করেননি। করেছেন তার প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না ও গাড়ির চালক শ্যাম রাই। অন্যদিকে, সঞ্জীব জানিয়েছেন গাড়িতে উঠে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। শিনারে শ্যাম ও ইন্দ্রাণী মিলে খুন করেন। এদিন খুনের পর যেখানে শিনার দেহ জালানো হয়েছিল সেই ঘটনাস্থলে তল্লাসি চালায় মুম্বই পুলিসের দল।

ইন্দ্রাণী তদন্তে জানান যেই দিন শিনাকে খুন করা হয়, অর্থাত্ ২৪ এপ্রিল, ২০১২-র আগের দিন রাতে সঞ্জীবের সঙ্গে ওরলির হিলটপ হোটেলে ছিলেন তিনি। তার আগে দিনের বেলা পরদিন শিনাকে খুন করার পর দেহ কোথায় ফেলবেন তা দেখে আসেন তারা। সেইসময়ও শ্যাম রাই তাদের সঙ্গেই ছিলেন। অন্যদিকে, সঞ্জীব জানিয়েছেন ২৪ তারিখই মেয়ে বিধির সঙ্গে দেখা করতে মুম্বই যান তিনি।

গৌহাটি তদন্ত চালানো মুম্বই পুলিসের দল খুঁজে পেয়েছে শিনার জাল বার্থ সার্টিফিকেট। যেখানে তার বাবা, মা হিসেবে নাম রয়েছেন উপেন্দ্রকুমার বোরা ও দুর্গারানি বোরার। যারা আসলে ইন্দ্রাণী বাবা, মা। অর্থাত্ শিনার দাদু-দিদা।

বৃহস্পতিবার সন্ধেয় সাংবাদিক সম্মেলনে মুম্বই পুলিস কমিশনার রাকেশ মারিয়া জানান, বিভিন্ন শহরে মুম্বই পুলিসের দল তদন্ত চালাচ্ছে। ইন্দ্রাণী গ্রেফতার হওয়ার পর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা কেটেছে। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও অনেক তথ্য আসবে আমাদের হাতে। মারিয়া জানান কে বা কারা শিনার সই নকল করে তার অফিসে পদত্যাগ পত্র পাঠালো বা যেই বাড়িতে শিনা ভাড়া থাকতেন তার মালিককে পাঠালো তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। এই ব্যক্তিই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী বলে মনে করছে পুলিস।

 

.