ঐতিহাসিক সুপ্রিম নির্দেশের নেপথ্য কারণ
ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। কলকাতা হাইকোর্টে কর্মরত বিচারক সিএস কারনানের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় পরোয়ানা জারি করল সুপ্রিমকোর্ট। দেশের প্রধান বিচারপতি জেএস কেহর সহ সাত সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দিয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেলকে এই নির্দেশ অনুসারে কাজ করতে হবে। কিন্তু কেন এমন নির্দেশ?
ওয়েব ডেস্ক: ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। কলকাতা হাইকোর্টে কর্মরত বিচারক সিএস কারনানের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় পরোয়ানা জারি করল সুপ্রিমকোর্ট। দেশের প্রধান বিচারপতি জেএস কেহর সহ সাত সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দিয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেলকে এই নির্দেশ অনুসারে কাজ করতে হবে। কিন্তু কেন এমন নির্দেশ?
এর আগে বিচারক কারনানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করেছিল সুপ্রিমকোর্ট। প্রসঙ্গত, ম্যাড্রাস হাইকোর্টের সাত জন বিচারপতি এবং সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন বিচারক কারনান। পরবর্তী কালে দেশের আইনমন্ত্রককেও চিঠি পাঠান এই বিচারক। এরপরই সলিসিটর জেনারেল শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে এই বিষয়ে দৃষ্টান্ত মূলক অবস্থান নেওয়া উচিত। তা না হলে, দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা টলে যেতে পারে। তার সেই চিঠির ভিত্তিতেই তাঁকে গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। বিচার ও বিচার বিভাগীয় প্রশাসনিক কাজ থেকে তাঁকে দূরে রাখার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশও দেয় সুপ্রিমকোর্ট। (আরও পড়ুন- দুই বন্ধুর 'জিহাদে' অস্বস্তিতে বিজেপি)
কিন্তু ১৩ই ফেব্রুয়ারিও আদালতে উপস্থিত হননি সিএস কারনান। বরং পরবর্তী কালে চিঠি লিখে তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলার অধিকার শীর্ষ আদালতের রয়েছে কিনা? তিনি আরও বলেন, তাঁকে ইমপিচ করার ক্ষমতা কেবল সংসদের হাতেই রয়েছে। এখন দেখার, আজকের এই ঐতিহাসিক নির্দেশের পর কী পদক্ষেপ নেন বিচারপতি কারনান এবং দেশের শীর্ষ আদালত।