ফিট! দিনকয়েকের মধ্যেই ফের ফাইটার জেট ওড়াবেন অভিনন্দন বর্তমান
চোখের নিচ থেকে শুরু করে শরীরের একাধিক অংশে চোট ছিল তাঁর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ৬০ ঘণ্টা তিনি পাকিস্তানি সেনার কবলে ছিলেন। পাকিস্তানের সেনার তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই ৬০ ঘণ্টায় তাঁর উপর কোনও রকম শারীরিক অত্যাচার করা হয়নি। যদিও উইং কমান্ডারের চোখে-মুখে মানসিক হেনস্থার ছাপ স্পষ্ট ছিল। তা ছাড়া নিজের মিগ-২১ বাইসন থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর স্থানীয়দের হাতে হেনস্থা হতে হয়েছিল অভিনন্দনকে। চোখের নিচ থেকে শুরু করে শরীরের একাধিক অংশে চোট ছিল তাঁর।
আরও পড়ুন- বানভাসি কেরলে জারি রেড অ্যালার্ট, বন্ধ করে দেওয়া হল কোচি বিমানবন্দর, মৃত ১০
৬০ ঘণ্টা যুদ্ধবন্দি রাখার পর অভিনন্দন বর্তমানকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল ইমরান খানের সরকার। তার পর নায়কের মর্যাদা নিয়ে দেশে ফিরেছেন তিনি। কিন্তু দেশে ফেরার পর থেকেই তাঁকে একাধিক শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষায় বসতে হয়। সেনার নিয়ম অনুসারে। জানা গিয়েছে, এর পরই অভিনন্দনকে কোনও অজানা বেসক্যাম্পে পাঠিয়েছিল ভারতীয় বায়ু সেনা। সেই বেস ক্যাম্প ভারত-পাক সীমানার কাছাকাছি কোথাও বলেই জানা গিয়েছে। সেখানেই নিয়ম মেনে একের পর এক পরীক্ষা হয়েছে তাঁর। কোনও শারীরিক, কোনওটা আবার মানসিক।
আরও পড়ুন- আজ থেকেই ছন্দে ফিরছে ভূস্বর্গ, খুলছে স্কুল, সরকারি দফতর, ঘরে ফিরবেন উপত্যকার বাইরে থাকা কাশ্মীরিরা
অভিনন্দন বর্তমানের শরীরে কোনও গুরুতর চোট ধরা পড়েনি। তবে মানসিক দিক থেকে তিনি কিছুটা বিধ্বস্ত ছিলেন। বায়ু সেনার তরফে তাঁর কোনও ইন্টারনাল ইনজুরি আছে কি না খতিয়ে দেখা হয়েছে। তা ছাড়া অভিনন্দনের শরীরে পাক সেনা তথ্য চুরির উদ্দেশে কোনও রকম ইলেকট্রনিক চিপ রেখেছে কি না সেটাও পরীক্ষা করা হয়েছে। সেরকম কিছু পাওয়া যায়নি অবশ্য। উইং কমান্ডার অভিনন্দন সব রকম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে তিনি এখন অনেকটাই ফিট। আর কিছুদিনের মধ্যেই অভিনন্দন কাজে যোগ দেবেন। জানা যাচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যেই আবার ফাইটার জেট নিয়ে আকাশে টহল দিতে দেখা যাবে তামিলনাড়ুর এই সাহসী বায়ু সেনাকে।