Covid-19 চালান কাটত 'নকল' পুলিস, পর্দাফাঁস করল 'আসল' পুলিস
চালানের টাকা তাঁকে তখনই দিতে হত। না হলে তিনি গ্রেফতারের ভয় দেখাতেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- পুলিসের মতোই ইউনিফর্ম তাঁর গায়ে। হাবভাব একেবারে পুলিসের মতো। লোকজনের কাছ থেকে চালান আদায়ের সময় কেউ দেখে বুঝতে পারবেন না যে তিনি আসলে পুলিসই নন! দিল্লি পুলিস সেজে সাধারণ মানুষের উপর উত্পাত করার ঘটনা যেন দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। এর আগেও উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তি পুলিস সেজে দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকায় সাধারণ মানুষের থেকে টাকা আদায় করেছিল। গত ডিসেম্বরের ঘটনা। গৌরি শঙ্কর নামে সেই ব্যক্তি পুলিস সেজে মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণও করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের সেই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেছিল দিল্লি পুলিস।
প্রায় একইরকম ঘটনা ঘটল আবার। দিল্লি পুলিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর সেজে এক মাঝবয়সী মহিলা লোকজনের থেকে চালানের টাকা আদায় করছিল। দিল্লির অনেক জায়গায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের থেকে চালানের টাকা আদায় করেছে সেই মহিলা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিসের জালে ধরা পড়েছে সেই নকল পুলিস। লকডাউনের সময় দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় কার্ফু ছিল। সেই সময় এই মহিলা রাজধানীর অনেক রাস্তায় টহল দিয়ে সাধারণ মানুষদের ধরপাকড় করতেন। তার পর তাঁদের নামে চালান কেটে দিতেন। চালানের টাকা তাঁকে তখনই দিতে হত। না হলে তিনি গ্রেফতারের ভয় দেখাতেন বলে জানতে পেরেছে পুলিস।
আরও পড়ুন- দশ মাসের শিশুকে স্যানিটাইজার মেশানো জল খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আশা কর্মীর বিরুদ্ধে
সেই মহিলাকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করেছে পুলিস। এমন ঘটনার পিছনে কোনও গ্যাং জড়িত কি না তা জানার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিস। এর আগে উত্তরপ্রদেশের গৌরি শঙ্কর নামের সেই ব্যক্তি পেশায় ছিলেন নিরাপত্তাকর্মী। ৩৮ বছরের সেই ব্যক্তি নিজেকে আইপিএস অফিসার বলে পরিচয় দিতেন। ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করেছিলেন তিনি। সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তিনি অনেককে ঠকিয়েছিলেন।