রাতে জেলে ইয়াকুবের কাছে জন্মদিনের কেক পাঠায় পরিবার, মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন
আজই তাঁর ৫৩ তম জন্মদিন। জন্মদিনের জন্য গতকাল রাতে কেক পাঠানো হয় নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে। মেমনের পরিবার জেল সুপারের হাতে এই কেক তুলে দেওয়া হয়। তখনও পরিবার আশায় ছিল ফাঁসির আর্জি হয়তো রদ করা হবে। মেমনের পরিবার তখন বিচারপতির বাড়িতে। ১৪ দিনের জন্য প্রাণভিক্ষার আর্জি জানান তাঁরা।
ওয়েব ডেস্ক: আজই তাঁর ৫৩ তম জন্মদিন। জন্মদিনের জন্য গতকাল রাতে কেক পাঠানো হয় নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে। ফাঁসির আগে মেয়ের সঙ্গে কথাও বলেন ইয়াকুব। মেমনের পরিবার জেল সুপারের হাতে এই কেক তুলে দেয়। তখনও পরিবার আশায় ছিল ফাঁসির আর্জি হয়তো রদ করা হবে। মেমনের আইনজীবীরা তখন বিচারপতির বাড়িতে। ১৪ দিনের জন্য প্রাণভিক্ষার আর্জি জানান তাঁরা।
এরপরই প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির বেঞ্চ তৈরি করে দেন। বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে সেই বেঞ্চে ছিলেন আরও দুই বিচারপতি অমিতাভ রায় এবং বিচারপতি পিসি পন্থ। কেন ফের ইয়াকুব মেমনের প্রাণ ভিক্ষার শুনানি হবে সে নিয়ে আদালতের বাইরে বিক্ষোভ চলে।
রাত তিনটে কুড়ি নাগাদ শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টের চার নম্বর এজলাসে। ইয়াকুবের পক্ষে আইনজীবী অশোক গ্রোভার আদালতে জানান, প্রাণভিক্ষার আর্জি নয়, ফাঁসি পিছনোর জন্যই তাঁরা নতুন করে আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি এবং ইয়াকুবের আইনজীবীদের জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে সওয়াল জবাব। বিচারপতিরা জানান, ইয়াকুব মেমনকে সময় দেওয়া হয়েছে। এরপরেও যদি তাঁর ফাঁসি পিছনো হয়, তাহলে তা বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে খারাপ নজির তৈরি করবে। ভোর প্রায় পাঁচটা নাগাদ বিচারপতিরা ফাঁসি পিছনোর আবেদন খারিজ করে দেয়। সকাল সাড়ে ছটা থেকে সাতটার মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করার জন্য নাগপুর জেলে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।