ইয়েদুরাপ্পা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন : সিদ্দারামাইয়া
হাই ভোলটেজ কর্ণাটক নির্বাচনে শুরুর দিকে কয়েটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের ওপর ভোটগ্রহণ শান্তিতেই হল। সকাল থেকে একে একে ভোট দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডি(এস) প্রধান এইচ ডি দেবেগৌড়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ইয়েদুরাপ্পাকে মানসিক ভাবে অসুস্থ বলে কটাক্ষ করলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। শনিবার রাজ্য বিদানসভার নির্বাচন চলাকালীন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইয়েদুরাপ্পা বলেন আগামী ১৫ই মে একক সংখ্যাগোরিষ্ঠতা নিয়ে আমরাই সরকার গড়ব কর্ণাটকে। তাঁর এই মন্তব্যকে দিবাস্বপ্ন বলে কটাক্ষ করেন সিদ্দারামাইয়া। উল্টে তিনি বলেন, ইয়েদুরাপ্পার মানসিক ভারসাম্য ঠিক নেই তাই তিনি আবোল-তাবোল বলছেন। সেই সঙ্গে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ১২০-র বেশি আসন নিয়ে সরকার গড়বে কংগ্রেসই।
হাই ভোলটেজ কর্ণাটক নির্বাচনে শুরুর দিকে কয়েটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের ওপর ভোটগ্রহণ শান্তিতেই হল। সকাল থেকে একে একে ভোট দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডি(এস) প্রধান এইচ ডি দেবেগৌড়া। বিয়ায়ী মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইয়েদুরাপ্পাও ভোট দিয়েছেন নিজেদের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে। প্রত্যেকেই তাঁদের দলের জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।
আরও পড়ুন- কর্ণাটকে চলছে ভোটগ্রহণ, বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোটের হার ৫৬ শতাংশ
একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে শনিবার ভোটের মঞ্চে নামে কর্ণাটক। ২২৪টি আসনের মধ্যে এদিন ভোটগ্রহণ হয় ২২২ আসনে। জয়নগর আসনে বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেখানে পিছিয়ে গেছে ভোট। অন্যদিকে রাজরাজেশ্বরী নগরে একটি ফ্ল্যাট থেকে ১০ হাজার ভোটার কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। ফলে, সেখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামী ২৮শে মে সেখানে নতুন করে ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। ফল বেরবে ৩১শে মে। তবে বাকি ২২২টি আসনে ভোটদান হল শনিবারই। সেখানে ফল ঘোষণা ১৫ই মে।
#WATCH: As voting in #Karnataka continues, CM Siddaramaiah says, 'Yeddyurappa is mentally disturbed. Congress will get more than 120 seats. I am very confident.' #KarnatakaElections2018 pic.twitter.com/yE6isfZcYq
— ANI (@ANI) May 12, 2018
কর্ণাটক নির্বাচনে মূল লড়াই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। তৃতীয় শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার দল জেডি(এস)। অধিকাংশ সমীক্ষাই বলছে দক্ষিণের এই রাজ্যে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হতে চলেছে। ফলে জেডি(এস)-ই এখানে কিং মেকার হয়ে উঠতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।