শ্রাবণে শিবভক্তদের যাত্রাপথে প্রকাশ্যে মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করল যোগী সরকার
গত ২০ জুলাই প্রতিটি জেলার জেলাশাসকের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় যাতে নির্বিঘ্নে জল ঢালতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে একাধিক পদক্ষেপ করল যোগী সরকার। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য কানওয়ার যাত্রার (জল নিয়ে হাঁটা) রাস্তায় সমস্ত মাংসের দোকানের প্রকাশ্যে বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে থাকছে ড্রোন, চপার ও পুলিসের নজরদারি গাড়ি। শুধু তাই নয়, মহিলা শিবভক্তদের নিরাপত্তায় আলাদা করে জোর দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। থাকছে মহিলা পুলিস। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আকাশপথে নজরদারি চালাবে ড্রোন। কানওয়ারিদের গতিবিধির উপরে নজর রাখবে পুলিস। কোনও অশান্তির ঘটনা মোকাবিলায় তৈরি থাকছে বাহিনী।
গত ২০ জুলাই প্রতিটি জেলার জেলাশাসকের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ওই নির্দেশিকায় একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। সবমিলিয়ে ১১ দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে জেলাপ্রশাসনকে। মেরট, মুজফফরনগর, বুলন্দশহর, গাজিয়াবাদ, নয়ডা, আলিগড়, বরেলি, বিজনৌর, মোরাদাবাদ ও হাপুরের মতো জায়গায় রাস্তার ধারে প্রকাশ্যে মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে যোগী সরকার।
গত কয়েকবছরে শিবভক্তদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে ডিজে ও লাউডস্পিকার নিয়ে আপত্তি উঠেছে। একাধিক অশান্তি খবর মিলেছে। এর পাশাপাশি আমিষ হোটেল, মদ ও মাংসের দোকানের সামনে দিয়ে শিবভক্তের যাত্রার সময়েও বিবাদ বেঁধেছে। এমনকি নানা ধরনের গুজব ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টাও হয়েছে আগে। এবারও ষড়যন্ত্র করে কানওয়ার যাত্রায় বিঘ্ন ঘটানো হতে পারে বলে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আশঙ্কা। পাশাপাশি দেশজুড়ে যেভাবে গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটছে, তা আরও শঙ্কা বাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দায় এসে পড়বে যোগী আদিত্যনাথের উপরে। তাই আগেভাগেই সজাগ প্রশাসন। যে কোনও ধরনের অশান্তি এড়াতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিসকে। এর পাশাপাশি মহিলা পুণ্যার্থীদের সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনা রুখতেও আলাদা করে যত্নবান হতে পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রার একাধিকবার ওঠে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এবার তা কড়া হাতে দমন করা হবে।
চলতি মাসের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছিলেন, ড্রোন ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে শিবভক্তদের দীর্ঘ যাত্রাপথের উপরে নজরদারি করা হবে। পাঁচটি প্রধান সড়ক ও রেলপথেও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। থাকবে উত্তরপ্রদেশ পুলিসের আপত্কালীন দল ও অ্যাম্বুল্যান্স। প্রতি ৫ কিলোমিটার অন্তর থাকবে বিশ্রাম শিবির।
আরও পড়ুন- জেনে নিন প্রতি বুধবার কীভাবে গণেশ পুজো করলে ধনলাভের বাধা দূর হবে