কাউকে যদি আঘাত করেন তাহলে ক্ষমা চাইতে বাধা কোথায়, প্রশান্তভূষণকে বলল আদালত
প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে টুইট করায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বিশিষ্ট আইনজীবী ও সামাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: পিছিয়ে গেল প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার শুনানি। মামলাটি অন্য বেঞ্চে পাঠানোর জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে সুপারিশ করলেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র।
প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে টুইট করায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বিশিষ্ট আইনজীবী ও সামাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণকে। কিন্তু প্রশান্তভূষণ ওই টুইট কাণ্ডে ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছেন। মঙ্লবার ওই মামলার শুনানির শুরুতে সরকারি আইনজীবী বলেন, প্রশান্তভূষণকে সতর্ক করে ক্ষমা করে দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন-চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে এবার লাদাখে নতুন এই মিসাইল মোতায়েন করল ভারত
এদিন বিচারপতি অরুণ মিশ্র আদালতে প্রশান্তভূষণকে বলেন, 'আপনি যদি কাউকে আঘাত দেন তাহলে ক্ষমা চাইতে বাধা কোথায়! আমি কিছু দিনের মধ্যেই অবসর নেব। আপনারা যদি বিচারপতিদের এভাবে আক্রমণ করতে থাকেন তাহলে তা কি বিচার ব্যবস্থার জন্য ভালো হবে? আপনি যদি কাউকে আঘাত করেন তাহলে তার ক্ষতে মলম তো আপনারই লাগানো উচিত!' প্রসঙ্গত, প্রশান্তভূষণের পক্ষে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান ও অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল।
উল্লেখ্য, প্রশান্তভূষণকে তাঁর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ৩ দিন সময় দেয় আদালত। সোমবার সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। একশো পাতার একটি জবাবে প্রশান্তভূষণ লিখেছেন, 'নিজের বিশ্বাস থেকেই বিচারপতির বিরুদ্ধে টুইট করেছিলাম। এখন শর্ত সাপেক্ষে বা বিনা স্বার্থে যদি ক্ষমা চাই তাহলে তা উদাহরণ হয়ে থাকবে। এখন পিছিয়ে আসার অর্থ আমার বিবেকের অবমামনা।' আজ প্রশান্ত ভূষণকে তাঁর জবাব পুনর্বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন-'কোনও কৃষক যেন বঞ্চিত না হন', বন্যা আশঙ্কায় সেচ ব্যবস্থায় নজরদারির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী
প্রশান্তভূষণের পক্ষ সওয়াল করতে উঠে তাঁর আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান বলেন, বিচার ব্যবস্থার উচিত সমালোচনার মুখোমুখী হওয়া। শুধু সমালোচনাই নয়, চরম সমালোচার সামনে দাঁড়ানো। সেই সমালোচনা সহ্য় করার মতো ক্ষমতা বিচার ব্যবস্থার রয়েছে। প্রশান্তভূষণকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হতেই পারে। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। কেউ সারা জীবন নীরব থাকবে না।
বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, প্রশান্তভূষণ তো মনেই করছেন না তিনি ভুল করেছেন। উনি ক্ষমা প্রার্থনা করেননি।