রেস্তরাঁয় মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা, বহিষ্কৃত ৬ বছরের জন্য
২০১৮-র শেষ দিকে বিধানসভা নির্বাচন কর্ণাটকে। মূলত কংগ্রেস, বিজেপি ও জনতা দল(সেকুলার)-এর মধ্যেই এবার ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে দক্ষিণের এই রাজ্যে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রেস্তরাঁয় এক ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়কের ছেলেকে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বেঙ্গালুরুর এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ছে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধী বিজেপি ইতিমধ্যেই এই ইস্যুকে সেরাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে হাতিয়ার করতে শুরু করেছে।
জানা যাচ্ছে, শনিবার মধ্যরাতে বেঙ্গালুরুর ইউবি কলোনীর একটি রেস্তোরাঁয় ডিনার করছিলেন আক্রান্ত। সেই সময় সেখানে আসেন বেঙ্গালুরু যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ হরিস নালাপদ ও তাঁর অনুগামীরা। মহম্মদ হরিস শহরের শান্তিনগর বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক এনএ হরিশের ছেলে। অভিযোগ, হঠাত্ রেস্তোরাঁয় হরিশ নালাপদ ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় ওই ব্যক্তির। শুরু হয় হাতাহাতি। এমনকী, আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সেখান থেকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে গিয়েও তাঁক ফের মারধর করা হয় বলে ওই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগেই গুজরাটে আটক জিগনেশ মেওয়ানি
এই খবর চাউর হতেই, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নির্দেশে দল থেকে প্রথমে বহিষ্কার করা হয় হরিশকে। এরপর আক্রান্ত ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি পেতেই হবে। এ ক্ষেত্রে কোনও রাজনীতির রং দেখা হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন সিদ্দারামাইয়া।
এদিকে এই বিষয়টি সামনে আসতেই, তাকে প্রচারের হাতিয়ার করল বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, দলীয় নেতাদের সামলাতে অক্ষম কংগ্রেস।
২০১৮-র শেষ দিকে বিধানসভা নির্বাচন কর্ণাটকে। মূলত কংগ্রেস, বিজেপি ও জনতা দল(সেকুলার)-এর মধ্যেই এবার ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে দক্ষিণের এই রাজ্যে।