1/4

2/4

বর্ষার শুরুতেই গঙ্গার এই ধরনের ভাঙন কালিয়াচক-৩ ব্লকের মানুষ কোনদিন দেখেনি । সাধারণত জলস্ফীতির সঙ্গে গঙ্গার ভাঙন যেমন শুরু হয়, তেমনই জল কমার সময় বর্ষার শেষের দিকেও ভাঙন দেখা যায়। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুতেই ভাঙণের যে ভয়াবহ রূপ গ্রামবাসীরা দেখতে শুরু করেছে তাতে এলাকাবাসীদের আশঙ্কা এবার ব্যাপক ভাঙন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দু’দিনের মধ্যে প্রায় ৩ থেকে ৪ বিঘা জমি তলিয়ে গেছে গঙ্গায়। গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় সেই ভাঙণ তীব্র আকার নিয়েছে। মূলত গঙ্গার পাড়ের জমিতে ভুট্টা চাষ করে থাকেন এলাকাবাসী। সেই চাষের জমি এখন গঙ্গাগর্ভে।
photos
TRENDING NOW
3/4

এখন ভাঙণের গ্রাসে পড়তে পারে বসতভিটে । সেই ভাঙনের আশঙ্কায় সিঁদুরে কালো মেঘ দেখতে শুরু করেছেন কালিয়াচক-৩ বল্কের বাসিন্দারা ।ইতিমধ্যেই গঙ্গা সংলগ্ন এলাকা জুড়ে বাড়িঘর ভাঙতে শুরু করেছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে বসতভিটে ছেড়ে সেখানকার মানুষেরা চকবাহাদুরপুরের দিকে যেতে শুরু করেছেন। সকাল থেকে ব্যস্ত ঘরের সামগ্রী সরানোর কাজে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, “ বছর তিনেক আগে বাড়ি গুলো তৈরি করেছি। যে হারে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে আজ রাতেই মনে হয় বসতবাড়িটি গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে। খুব কষ্ট হচ্ছে। নিজের ভিটেমাটি চলে যাচ্ছে গঙ্গায়।
4/4

চোখের সামনে দেখতে হচ্ছে। পার চকবাহাদুরপুরের পঞ্চায়েত সদস্য অর্জুন মন্ডল বলেন , ‘বর্ষার শুরুতে ভাঙন আমরা এই প্রথম দেখছি। জলস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাঙন হয়ে থাকে। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুতেই ভাঙন শুরু হয়েছে । এটা আগে কখনও দেখি নি ।এই ভাঙন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হওযার সম্ভাবনা রয়েছে।“ স্থানীয় বাসিন্দারা পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের নজরে বিষয়টি এনেছে । বর্যার শুরুতেই যেভাবে গঙ্গার ভাঙণ শুরু হয়েছে তা প্রতিরোধে প্রশাসন যদি দ্রুত উদ্যোগী না হয় তাহলে মালদার কালিয়াচক ৩ নং ব্লক ম্যাপ থেকে মুছে যেতে পারে সেই আশঙ্কা গ্রামবাসীদের ।
photos