Rabindranath Tagore Death Anniversary: রবীন্দ্রনাথ 'বাঁদর' বলতেই ঘরের সকলে চমকে উঠলেন...
Rabindranath Tagore Death Anniversary: আগামী কাল, ৮ অগস্ট বাঙালির মন খারাপের দিন। আগামীকাল ২২ শ্রাবণ। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের এই দিনেই প্রয়াণ ঘটে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। তবে ইংরেজি তারিখ দেখলে আজই, এই ৭ অগস্টই তাঁর মৃত্যুদিন। ১৯৪১ সালের এই তারিখে তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। মৃত্যুর আগে বেশ কিছুদিন রোগভোগও করতে হয়েছিল কবিকে।
সৌমিত্র সেন: আগামী কাল, ৮ অগস্ট বাঙালির মন খারাপের দিন। আগামীকাল ২২ শ্রাবণ। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের এই দিনেই প্রয়াণ ঘটে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। তবে ইংরেজি তারিখ দেখলে আজই, এই ৭ অগস্টই তাঁর মৃত্যুদিন। ১৯৪১ সালের এই তারিখে তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। রবীন্দ্রনাথ বঙ্গ কাব্য-সাহিত্য-সংস্কৃতির এক পুরোধাপুরুষ। তাঁকে বাদ দিয়ে বাঙালির যাপন অসম্পূর্ণ। এহেন কবি-মনীষীর মৃত্যুতে বাঙালি শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছিল। জীবৎকালেই কিংবদন্তি রবীন্দ্রনাথ বঙ্গজীবনে যেন একটা ফেনোমেনন হয়ে উঠেছিলেন। ভারাক্রান্ত মনে এ দিন বাঙালি রবীন্দ্র-তর্পণ করে থাকে। তবে সেই শোকনিমগ্ন গম্ভীর উদযাপনে রইল মননের দিশারি স্রষ্টাচূড়ামণি রবীন্দ্রনাথের চরিত্রের তুলনামূলক হালকা কয়েকটি দিক। যা জেনে হয়তো মন কিছুক্ষণের জন্য কবিশোক ভুলতেও পারবে।
কুঁজোর জল
![কুঁজোর জল](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/07/384680-writing.png)
জীবনের শেষ দিকে এসে রবীন্দ্রনাথ সামনের দিকে ঝুঁকে লিখতেন। একদিন তাঁকে ওইভাবে লিখতে দেখে তাঁকে একজন বললেন, আপনার নিশ্চয় ওভাবে লিখতে কষ্ট হচ্ছে। হেলান দিয়ে লিখতে পারেন এরকম একটা চেয়ারের ব্যবস্থা করলে তো লিখতে সুবিধা হবে। বক্তার দিকে তাকিয়ে রসিক রবীন্দ্রনাথ জবাব দিলেন, কী জানো, এখন উপুড় হয়ে না লিখলে কি আর লেখা বেরোয়! কুঁজোর জল কমে তলায় ঠেকলে একটু উপুড় তো করতেই হয়।
দণ্ডদান
![দণ্ডদান](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/07/384678-tagore2.png)
TRENDING NOW
বাঁ-দোর
![বাঁ-দোর](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/07/384677-rabindranath3.png)
একবার এক ঘরোয়া আসর জমেছে। সবাই হাসি-গল্পে মশগুল। রবীন্দ্রনাথ বললেন, 'এ ঘরে একটা বাঁ দোর আছে।' সবাই এ-ওর মুখের দিকে তাকাচ্ছে। গুরুদেব কাকে আবার 'বাঁদর' বললেন? রবীন্দ্রনাথ বুঝতেই পারছিলেন, তিনি সকলকে চমকে দিয়েছেন। তখন বুঝিয়ে দিলেন, 'এ ঘরে দুটো দরজা বা দোর। একটা ডান দিকে, অন্যটা বাম দিকে। সেই দরজাটিকেই বলছিলাম বাঁ-দোর!'
মনোরঞ্জন, দেহরঞ্জনও
![মনোরঞ্জন, দেহরঞ্জনও](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/07/384676-tagoredlroy.png)
একবার এক দোলপূর্ণিমার দিনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সাক্ষাৎ। পরস্পর নমস্কার বিনিময়ের পর হঠাৎই দ্বিজেন্দ্রলাল তাঁর জামার পকেট থেকে আবির বের করে রবীন্দ্রনাথের গায়ে রং দিলেন। আবিরে রঞ্জিত রবীন্দ্রনাথ সহাস্যে বলে উঠলেন, এতদিন জানতাম দ্বিজেনবাবু হাসির গান ও নাটক লিখে সকলের মনোরঞ্জন করে থাকেন, আজ দেখছি শুধু মনোরঞ্জন নয়, দেহরঞ্জনেও তিনি ওস্তাদ!
রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজি
![রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/07/384675-gandhitagore.png)
একবার রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজি একসঙ্গে বসে খাচ্ছেন। সেদিন কবি লুচি খাচ্ছিলেন। গান্ধীজি লুচি পছন্দ করতেন না, তাই তাঁকে ওটসের পরিজ খেতে দেওয়া হয়েছিল। তবে কবিকে গরম গরম লুচি খেতে দেখে গান্ধীজি বলে উঠলেন, গুরুদেব, তুমি জানো না যে তুমি বিষ খাচ্ছ। কবিগুরু বললেন, বিষই হবে; তবে এর অ্যাকশন খুব ধীরে। কারণ, আমি বিগত ষাট বছর যাবৎ এই বিষই খাচ্ছি।
নৃত্যপ্রেমী রবীন্দ্রনাথ
![নৃত্যপ্রেমী রবীন্দ্রনাথ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/07/384674-dancetagore.png)
নৃত্যপ্রেমী রবীন্দ্রনাথ। নৃত্য নিয়ে তিনি বিপুল ভাবনাচিন্তা করেছেন। তবে অনেকেই হয়তো জানে না, কবি স্বয়ং চমৎকার বল ডান্স করতে পারতেন। শিখেছিলেন খুড়তুতো দিদি সত্যেন্দ্রবালা ঠাকুরের কাছে। যদিও রবীন্দ্রনাথ নিজে তাঁর নৃত্যশৈলীকে বলতেন ভাবনৃত্য। জাভা দেশের নৃত্যের স্বতঃস্ফূর্ত ভাবাবেগ থেকে এই শৈলীর জন্ম। পরে তাতে মেশে মণিপুরী, কথাকলি, শ্রীলঙ্কার নাচ, ইত্যাদ আরও নানা স্থানিক নৃত্যভঙ্গি।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় দক্ষ
![হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় দক্ষ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/07/384673-tagorehomeo.png)