চেষ্টা করেও নিজেকে সন্ত্রাসবাদী তালিকা থেকে বের করতে পারল না রাষ্ট্রসঙ্ঘের ঘোষিত জঙ্গি হাফিজ সইদ। সরকারি সূত্রে খবর, তার নাম সন্ত্রাসবাদী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে আবেদন করেছিল ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার মূলচক্রী। কিন্তু সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
2/8
পুলওয়ামা হামলার চক্রী জইশ-এ-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের ১২৬৭ প্রতিবন্ধ সমিতির কাছে জমা পড়েছে আবেদন। আর ঠিক তখন ধাক্কা খেল হাফিজ সইদ। যা তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশের।
photos
TRENDING NOW
3/8
সংবাদ সংস্থা পিটিআই একটি সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করেছে, লস্কর-এ-তৈবার সহ-তিষ্ঠাতা হাফিজ সইদকে নিয়ে গোপন প্রমাণপত্র রাষ্ট্রসঙ্ঘে পেশ করেছে ভারত। তার গতিবিধির ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে ভারতের নথিতে।
4/8
মুম্বই হামলার পর ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর হাফিজ সইদকে নিষিদ্ধ করেছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ২০১৭ সালে লাহোরের আইনি সংস্থা মির্জা ও মির্জার মাধ্যমে রাষ্ট্রসঙ্ঘে আপিল করেছিল হাফিজ। তখন পাকিস্তানে গৃহবন্দি হয়েছিল সে।
5/8
সূত্রের খবর, হাফিজের আবেদন খতিয়ে দেখতে নিরপেক্ষ লোকপাল ড্যানিয়েল কিপফর ফাসিয়াটিকে নিয়োগ করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তদন্তের পর হাফিজ সইদের আইনজীবীকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সন্ত্রাসবাদী তালিকা থেকে এখনই সরানো যাবে না লস্কর নেতাকে। তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণপত্র থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেন ড্যানিয়েল।
6/8
কিন্তু এত সময় লাগল কেন? সূত্রের খবর, মাঝে লোকপাল বদল করার জন্য এতটা সময় লেগে গেল।
7/8
বলে রাখি, সইদের আবেদনের বিরোধিতা করেছিল ভারত-সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে বিরোধিতা করেনি পাকিস্তান। ফলে ইমরানের 'নয়া পাকিস্তান'-এর মুখোশ আরও একবার খুলে গিয়েছে।
8/8
গত মাসে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে জঙ্গি তালিকায় আনার জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘে আবেদন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। নয়াদিল্লির পাশে থাকার আশ্বাস ইতিমধ্যেই দিয়েছে প্যারিস।