ফিফার বিচারে আবার মেসিকে হারিয়ে বর্ষসেরা রোনাল্ডোই
টানা দ্বিতীয়বার ব্যালন ডি অর জিতলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ফিফার বিচারে সিআর সেভেনই হলেন ২০১৪ সালের বর্ষসেরা ফুটবলার। দ্বিগুণেরও বেশি ভোটে মেসি, নয়্যারকে পিছনে ফেলে বাজিমাত করেছেন এই পর্তুগিজ ফুটবল তারকা।
ফেভারিট হিসেবে অনেকেই বলাবলি করছিলেন তাঁর নাম। কিন্তু তবু প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছিল। রোনাল্ডো কি পারবেন মেসিকে পরাস্ত করতে? দুই মহাতারকার লড়াইয়ের মাঝে ব্যালন ডি অর নিয়ে বেরিয়ে যাবেন না তো ম্যানুয়েল নয়্যার? সব প্রশ্নের জবাব মিলল জুরিখের মঞ্চে। অফিসিয়ালি দু হাজার চোদ্দোর বিশ্বসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন সিআর সেভেন। এ নিয়ে মোট ৩ বার এই পুরস্কার ঘরে তুললেন রোনাল্ডো। প্রথম জেতেন ২০০৮ সালে।
এরপর মেসি-ঝড়ে চার বছর খালি হাতেই ফিরতে হয় রিয়েল মাদ্রিদ তারকাকে। গত বছর অবশেষে তাঁর প্রত্যাবর্তন। সেই ধারা অব্যাহত রাখলেন এবারও। পরপর দু-বার জিতে নিলেন ব্যালন ডি অর। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে রোনাল্ডোর গলায় শোনা গিয়েছে তাঁর আরেক স্বপ্নের কথা। দু হাজার চোদ্দোয় রোনাল্ডোর স্কোরকার্ড ছিল এককথায় চোখধাঁধানো। রিয়েল মাদ্রিদের হয়ে রেকর্ড সংখ্যক গোলই হোক, বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগায় দুরন্ত পারফরমেন্স- সবেতে এক নম্বরে এই তারকা ফরোয়ার্ড। একের পর এক টুর্নামেন্টে ক্লাবকে জয়ী করার পিছনেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
মাইনাস পয়েন্ট বলতে ছিল, গতবারের বিশ্বকাপ ফুটবল। পর্তুগাল ক্যাপ্টেনের ফর্ম সেখানে সবাইকে হতাশ করে। তবে তাঁর ওভারঅল পারফরমেন্স গ্রাফ মেসি-নয়্যারদের থেকে তাঁকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিল। শেযপর্যন্ত ফল ঘোষণা হতেই সব জল্পনার অবসান।
মোট ৩৭.৬৬ শতাংশ ভোট পেয়ে ব্যালন ডি অরের লড়াইয়ে এক নম্বরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সমানে সমানে টক্কর হয়েছে মেসি ও নয়্যারের মধ্যে। ১৫.৭৬ শতাংশ ভোট পেয়ে রানার আপ লিও মেসি। অন্যদিকে, ১৫.৭২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন জার্মানি তথা বায়ার্ন মিউনিখের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার।