ফকনারের আশ্চর্য প্রদীপে ওয়ানডে আরও অদ্ভুতুড়ে, হারের জিন চেপেই থাকল ইংল্যান্ডের
ব্যাটিং অর্ডারে টেলেন্ডারদের নিয়ে কম হাসাহাসি হয় না ক্রিকেটে। একটা সময় তো টেলএন্ডারদের ব্যাট করতে পাঠানোই হত না, তাঁদের হাত বাঁচাতে। কিন্তু বদলে যাওয়া ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন জয়-পরাজয়ের ফারাক গড়ে দিচ্ছেন টেলেন্ডার ব্যাটসম্যানরাই। এই যেমন আজ গাব্বায় করে দেখালেন অস্ট্রেলিয়ার জেমস ফকনার। ব্যাটিং অর্ডারে ৮ নম্বরে নেমে যিনি অসাধ্যসাধন করে দলকে জিতিয়ে আনলেন।
ইংল্যান্ড-- ৩০০, অস্ট্রেলিয়া-৩০১/৯ (ফকনার ৬৯ অপ)
গাব্বার ম্যাজিক--
জেমস ফকনার-- শেষ তিন বলে তিনটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়।
আজ ফকনার কী কায়দায় খেল খতম করলেন -- ৬, ৬, ১, ১, ১, ১, ২, ০, ৬, ১, ০, ০, ২, ২, ১, ০, ০, ৬, ৬, ০, ১, ৪, ৪, ৪
ব্যাটিং অর্ডারে টেলেন্ডারদের নিয়ে কম হাসাহাসি হয় না ক্রিকেটে। একটা সময় তো টেলএন্ডারদের ব্যাট করতে পাঠানোই হত না, তাঁদের হাত বাঁচাতে। কিন্তু বদলে যাওয়া ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন জয়-পরাজয়ের ফারাক গড়ে দিচ্ছেন টেলেন্ডার ব্যাটসম্যানরাই। এই যেমন আজ গাব্বায় করে দেখালেন অস্ট্রেলিয়ার জেমস ফকনার। ব্যাটিং অর্ডারে ৮ নম্বরে নেমে যিনি অসাধ্যসাধন করে দলকে জিতিয়ে আনলেন।
গাব্বায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩০০ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ২৪৪ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসেছিল অস্ট্রেলিয়া। তখন সবাই ধরেই নিয়েছিলেন এই সফরে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিততে চলেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু সেটা ভাবেননি শুধু জেমস ফকনার। ১১ নম্বরে নামা ক্লাইন্ট ম্যাকাইকে সঙ্গী করে ফকনার এমন একটা জয় ছিনিয়ে আনলেন যেখানে ওয়ানডে ক্রিকেট আরও অবিশ্বাস্য হয়ে উঠল। ফকনারের ৪৭ বলে ৬৯ রানের ইনিংস আমাদের একটা জিনিস শিখিয়ে গেল। রান তাড়া করতে নেমে জয় থেকে ৫০ রান দূরে ৯ উইকেট পড়ে গেল মানে খেলা শেষ আর টিভি বন্ধ, এই অভ্যাস এবার ত্যাগ করতে হবে।
দু ওভারে জয়ের জন্য করতে হত ২৫ রান। ৪৯ তম ওভারে বেন স্টোকসের বলে দু দুটো ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচে টিকিয়ে রাখলেন। শেষ ওভারে ব্রেসনানের বলে ঘতাক হয়ে উঠলেন। ৬ বলে দরকার ছিল ১২ রান। প্রথম তিন বলে তিনটে বাউন্ডারি মেরে খেল খতম করে দিলেন।
এদিনের ম্যাচে জেতায় সিরিজে পাঁচ ম্যারে সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে অ্যাসেজে ০-৫ হারের ধাক্কার পর আজকের এই হার দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দিল ইংল্যান্ডের।
ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচবার নেমেছেন ফকনার। করছেন যাথাক্রমে ৫৪ অপরাজিত, ১৭, ৬৪ অপরাজিত, ১১৬, ৬৯ অপরাজিত। মোট ৩২০ রান, ২০৫ বলে। মারেন মোট ১৮টা ওভার বাউন্ডারি।