Angel Di Maria, FIFA World Cup 2022: দু'জনের সাপে নেউলে সম্পর্ক! বদলা নিতে মরিয়া ডি মারিয়া, ঠোঁটে চুমু দেবেন লুইস ভ্যান গাল!
কয়েক ঘন্টা পরেই লুসেল স্টেডিয়ামে ৯০ মিনিটের যুদ্ধে লাতিন আমেরিকা বনাম ইউরোপিয়ান ফুটবলের লড়াই। তবে সেই লড়াইয়ের দু'জনের লড়াইও জমে উঠবে। ডি মারিয়া ২০০৫ সালে ম্যান ইউ ছেড়েছেন। ২০১৬ সালের পর থেকে ভ্যান গালের কোনও যোগাযোগ নেই। তবুও দু'জনের সাপে নেউলে সম্পর্কটা রয়েই গিয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিট্যাল ব্যুরো: এমনিতেই আর্জান্টিনা (Argentina) ও নেদারল্যান্ডসের (Netharlands) ফুটবল অতীত সুখের নয়। বিশ্বকাপের (FIFA World Cup) মঞ্চে তো একেবারেই নয়। এরমধ্যে আবার দুই দলের দুই তারকার মধ্যে জোর ঝামেলা লেগে গেল। একজন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া (Angel Di Maria) ও আর একজন লুইস ভ্যান গাল (Luis Van Gaal)। ১০ ডিসেম্বর কোয়ার্টার ফাইনালে 'টোটাল ফুটবল'-এর সঙ্গে 'টাচ ফুটবল' দেখার অপেক্ষায় ফুটবল দুনিয়া। এরমধ্যে আর্জেন্টিনার তারকা স্ট্রাইকার ও বিপক্ষের হেড কোচ একে অপরের দিকে তীব্র গোলাগুলি ছুড়লেন। তৈরি হয়ে গেল বদলার অন্য এক মঞ্চ। যদিও ভ্যান গাল কিন্তু চলতি বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে তাঁর প্রাক্তন ছাত্রের ঠোঁটে চুমু দিতে চান!
কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল? সেই উত্তর পেতে হলে চলে আট বছর আগে। ২০১৪ সালে অনেক ঘটা করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের (Manchestar United) এসেছিলেন ডি মারিয়। সেই সময় 'রেড ডেভিলস'-দের হেড কোচ ছিলেন এই ভ্যান গাল। এহেন ভ্যান গালের উপস্থিতিতে সাত নম্বর জার্সি হাতে নিয়ে ওয়েম্বলি স্টেদিয়ামে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছিলেন লিওনেল মেসির সতীর্থ। পাঁচ মরসুমের জন্য ম্যান ইউ-তে এলেও, মাত্র কয়েক মাস পর থেকেই কোচ ও তারকা ফুটবলারের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে চলে যায়। সংসারে অশান্তি এমন জায়গায় যে, মাত্র এক মরসুমে ২৭টি ম্যাচ খেলেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ডি মারিয়া।
সেই সময় কেন তাঁকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল? ডি মারিয়ার প্রতিক্রিয়া, 'হ্যাঁ আমার সঙ্গে ওর সম্পর্ক একেবারেই ভালো নয়। আমার ফুটবল কেরিয়ারে ভ্যান গাল সবচেয়ে বাজে কোচ। ও আমার দেখা সবচেয়ে বাজে কোচ।' কিন্তু কেন প্রাক্তন কোচের প্রতি তাঁর এত রাগ জমে আছে? কেন তিনি ভ্যান গালকে সম্মান করেন না? ডি মারিয়া ফের যোগ করেন, 'মনে করুন কোনও ম্যাচে আমি গোল করলাম। কিংবা আমার অ্যাসিস্ট থেকে দল গোল পেল, স্বভাবতই আমার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আমি আশা করতেই পারি যে কোচ ইতিবাচক কথা বলবে। কিন্তু ভ্যান গাল সেটা না করে, আমি কটা মিস পাস করেছি সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে যেত! আমার আত্মবিশ্বাস ভেঙে দিতে চাইত। আসলে ভ্যান গাল এমন একটা মানুষ, যে ফুটবলারদের উপর ছড়ি ঘোরাতে চায়। কোনও ফুটবলার ওর চেয়ে বেশি প্রচারে আসুক সেটা ভ্যান গাল চায় না।'
তবে ডি মারিয়া তাঁর প্রাক্তন ক্লাবের কোচকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করলেও, তথ্য বলছে ম্যান ইউ-এর এক মরসুমে তিনিও নিজের যোগ্যতা অনুসারে পারফর্ম করতে পারেননি। ২৭ ম্যাচে মাত্র ৩টি গোল করেছিলেন ডি মারিয়া। সেটা নিয়ে অবশ্য পুরনো কাসুন্দি ঘাটতে নারাজ ভ্যান গাল। তবে তাঁকে কাপ যুদ্ধের ম্যাচের আগে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, ভ্যান গাল মজা করে বলেন, 'তাই নাকি! ডি মারিয়া আমাকে সবচেয়ে বাজে কোচ বলেছে? আসলে ডি মারিয়ার মতো খুব কম ফুটবলার আছে যারা আমাকে বাজে কোচ বলে। এই আমার পাশে মেম্পহিস বসে আছে। সেই সময় মেম্পহিসও তো ম্যান ইউ-তে খেলেছে। ওকেই জিজ্ঞেস করে নিন। যাই হোক। আর তো তো কয়েক ঘন্টা পর আমাদের দেখা হবেই। তখন ডি মারিয়ার ঠোঁটে চুমু খেয়ে নেব!'
আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই লুসেল স্টেডিয়ামে ৯০ মিনিটের যুদ্ধে লাতিন আমেরিকা বনাম ইউরোপিয়ান ফুটবলের লড়াই। তবে সেই লড়াইয়ের দু'জনের লড়াইও জমে উঠবে। ডি মারিয়া ২০০৫ সালে ম্যান ইউ ছেড়েছেন। ২০১৬ সালের পর থেকে ভ্যান গালের কোনও যোগাযোগ নেই। তবুও দু'জনের সাপে নেউলে সম্পর্কটা রয়েই গিয়েছে।