Cristiano Ronaldo VS Fernando Santos, FIFA World Cup 2022: ব্যাপক কাদা ছোড়াছুড়ি! বান্ধবীর পর এবার 'ভিলেন' ফের্নান্দো স্যান্টোসকে বুঝে নিলেন রোনাল্ডোর দুই বোন
ফের্নান্দো স্যান্টোস জানতেন তাঁকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইবে। তবুও তিনি পরোয়া করেননি। জানতেন সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁকে ব্যাপক ট্রোল করবেন রোনাল্ডো অনুরাগীরা। তবুও কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন। তাঁর এই ফাটকা ছিল সুপার হিট।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিট্যাল ব্যুরো: বান্ধবী জর্জিনা রডরিগেজের (Georgina Rodriguez) পর এবার আসরে নেমে পড়লেন পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) দুই বোন। দলের অধিনায়ককে বেঞ্চে বসানোর অপরাধে 'সি আর সেভেন'-এর (CR 7) পরিবার এবং কাছের মানুষদের কাছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় 'ভিলেন' হেড কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোস (Fernando Santos)। কোচ ও নিন্দুকদের একহাত নিয়ে রোনাল্ডোর বোন এলমা আভেইরো (Elma Aveiro) জানিয়েছেন, যারা তাঁর দাদার নিন্দা করছে, তারা আসলে নিজের খাবারের থালাতেই থুতু ফেলছে! পর্তুগিজ মহাতারকার আর এক বোন কাতিয়া আভেইরোর (Katia Aveiro) দাবি, দলে যখন রোনাল্ডো এতটাই অপ্রয়োজনীয়, তাহলে তো কাতারে থাকার দরকারই নেই। বরং দেশে ফিরে এসে পরিবারের সঙ্গে বসে খেলা দেখুন তিনি। সুইজারল্যান্ডের (Switzerland) বিরুদ্ধে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন না পর্তুগীজ মহাতারকা। সেই নক আউট ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত রোনাল্ডোর জায়গা ছিল রিজার্ভ বেঞ্চ! এই অপমান মেনে নিতে না পেরে, ফের্নান্দো স্যান্টোসকে কটাক্ষ করেছিলেন রোনাল্ডোর বান্ধবী জর্জিনা রডরিগেজ (Georgina Rodriguez)। যদিও এখনও পর্যন্ত এই স্পর্শকাতর ইস্যুতে রোনাল্ডো নিজে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ইনস্টাগ্রামে এলমা আভেইরো লিখেছেন, 'পর্তুগাল এগিয়ে যাক। একজন বেঞ্চে বসে থেকে অন্যদের মাঠে নেমে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা ম্যাচ জিতে গিয়েছি, এখন পরের খেলায় মন দেওয়া দরকার। যে সমস্ত ভণ্ড সমালোচক রয়েছেন, তাঁদের জন্য আমার একটাই কথা বলার আছে। যে থালা থেকে আপনারা খাচ্ছেন, সেই থালাতেই থুতু ফেলবেন না। পর্তুগালের জন্য রোনাল্ডোর যা অবদান, সেটা কোনওদিন মুছে ফেলা যাবে না। আমার দাদা যা কিছু করেছে, তার জন্য আমি গর্বিত।'
সিআর সেভেনের আর এক বোন কাতিয়া আভেইরোও ব্যাপক চটেছেন কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের উপর। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, 'তরুণদের দাপটে পর্তুগাল জিতে গিয়েছে, খুব ভালো কথা। অনেকেরই মত, রোনাল্ডোকে ছাড়াই দল ভালো খেলছে। সেটা শুনতে খুবই খারাপ লাগছে। তাই আমার মনে হয়, এই মুহূর্তে জাতীয় দল ছেড়ে দেশে ফিরে আসুক রোনাল্ডো। আমাদের সঙ্গে বসে খেলা দেখুক, তাহলে আমরা ওকে জড়িয়ে ধরে বলতে পারব, সব কিছু ঠিক আছে। চিন্তা করার কোনও কারণ নেই।'
সুইজারল্যান্ড ম্যাচের আগে পর্তুগিজ ফুটবল ভক্তদের ৭০ শতাংশের দাবি ছিল, ফর্ম থেকে অনেক দূরে থাকা ৩৭ বছরেরর রোনাল্ডকে বসিয়ে দেওয়া হোক। তাই অভিমানি বোনের দাবি, তাহলে পরিবারের সান্নিধ্যেই থাকুন রোনাল্ডো, তাঁকে ছাড়াই এগিয়ে যাক দল। গত ম্যাচের পরেই স্যান্টোসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রোনাল্ডোর বান্ধবী জর্জিনা। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছিলেন, 'পর্তুগালকে অনেক অভিনন্দন। মাঠে দাঁড়িয়ে ১১ জন ফুটবলার যখন জাতীয় সংগীত গাইছিল, তখন কিন্তু সকলের নজর ছিল শুধু তোমার দিকেই। বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে ৯০ মিনিটের জন্য দেখতে পেলাম না, এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। ভক্তরা শুধু তোমার নামের জয়ধ্বনি দিচ্ছিল। আশাকরি ঈশ্বর ও ফের্নান্দো আরও একবার হাত মিলিয়ে তোমাকে ছাড়াই প্রথম একাদশ নামাক! তাহলে আরও একবার এরকম ম্যাজিক তৈরি হবে।'
ফের্নান্দো স্যান্টোস জানতেন তাঁকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইবে। তবুও তিনি পরোয়া করেননি। জানতেন সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁকে ব্যাপক ট্রোল করবেন রোনাল্ডো অনুরাগীরা। তবুও কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন। তাঁর এই ফাটকা ছিল সুপার হিট। দলের অধিনায়কের জায়গায় সুযোগ পেয়েছিলেন ২১ বছরের তরুণ গনসালো রামোস। আর প্রথমবার কাপ যুদ্ধের মঞ্চে নেমেই হ্যাটট্রিক করেন ২৬ নম্বর জার্সিধারী। দল বিপক্ষকে ৬-১ ব্যবধানে উড়িয়ে শেষ আটে চলে গিয়েছে। স্যান্টোস বারবার দাবি করছেন, রোনাল্ডোর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ফাটল ধরেনি। তবুও বিতর্ক ও রোনাল্ডোর পরিবারের তরফ থেকে কাদা ছোড়াছুড়ি থামতেই চাইছে না।