Neymar, FIFA World Cup 2022: ঘুম তো দূরের কথা, রাতের পর রাত কেঁদে বালিশ ভিজিয়েছেন নেইমার! জানালেন 'কামব্যাক ম্যান'
গত ২৪ নভেম্বর সার্বিয়ার ডিফেন্ডাররা নেইমারকে মাত্র ১২ বার ফাউল করেছিল! যেখানে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে মোট ফাউলের সংখ্যাই ছিল ১৫! বিশেষ বিশেষ ফুটবলারকে বেছে বেছে ফাউলের সেরা নিদর্শন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্ব ফুটবলের বাকি দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি (Lionel Messi) ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) মতো তাঁর কাছেও বিশ্বকাপ (World Cup) জয় অধরা। অন্য দুই জীবন্ত কিংবদন্তির মতো নেইমারও (Neymar Jr) বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই কাতার বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) এসেছেন। তবে শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে মেসি ও রোনাল্ডোর থেকে অনেকটা পিছিয়েই গিয়েছেন ব্রাজিলের (Brazil) 'পোস্টার বয়'। ঘুম তো দূরের কথা, রাতের পর রাত কেঁদে বালিশ ভিজিয়েছেন নেইমার! নিজেই জানালেন 'কামব্যাক ম্যান'।
নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সার্বিয়ার (Serbia) বিরুদ্ধে খেলার সময় গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। সেই চোট নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। গ্রুপ পর্ব থেকে তিনি ছিটকে যাবেন! এমনকি তাঁর বিশ্বকাপ অভিযান থেমে যেতে পারে! ব্রাজিলের একাধিক সংবাদমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করতে থাকে। সেই দুঃখে রাতের পর রাত কেঁদে কাটিয়েছিলেন নেইমার। দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দেওয়ার পর এমনই স্বীকারোক্তি করলেন 'ম্যাচের সেরা' ফুটবলার।
সাংবাদিক বৈঠকে এসেছিলেন নেইমার। সেখানে অবধারিত ভাবে উঠে আসে তাঁর চোট ও রিহ্যাব করার প্রসঙ্গ। সেই প্রশ্নের জবাবে নেইমার বলেন, 'চোট সারিয়ে মাঠে ফিরতে পেরে খুশি। যখন চোটে পড়ি, ওই রাতটা আমার জন্য কঠিন ছিল। আসলে প্রথম ম্যাচ থেকেই খুব ভালো খেলছিলাম। এর মধ্যে গোড়ালিতে চোট পাওয়া মেনে নিতে পারছিলাম না। সেই সময় রাতের পর রাত আমি কেঁদে কেঁদেই কাটিয়েছি। নেতিবাচক অনেক কিছুই মাথায় এসেছিল। আবার বিশ্বকাপে খেলতে পারব কি না, এই ভেবে ভয়ে ছিলাম।'
গত ২৪ নভেম্বর সার্বিয়ার ডিফেন্ডাররা নেইমারকে মাত্র ১২ বার ফাউল করেছিল! যেখানে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে মোট ফাউলের সংখ্যাই ছিল ১৫! বিশেষ বিশেষ ফুটবলারকে বেছে বেছে ফাউলের সেরা নিদর্শন। ২০১৪ বিশ্বকাপে যেমন ছিলেন কলম্বিয়ার (Colombia) জুয়ান জুনিগা (Juan Zuniga), ২০২২-এ সেই ভূমিকায় সার্বিয়ার নিকোলা মিলেনকোভিচ (Nikola Milenkovic)। তাঁর ফাউলেই আপাতত অনিশ্চিত নেইমারের কাতার-ভবিষ্যৎ। জুনিগা সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে নেইমারকে বিচ্ছিরিভাবে ফাউল করেছিলেন। নেইমারের ভার্টিব্রা ভেঙে যায়। কাপ যুদ্ধ থেকে ছিটকে যান তিনি। এবার ব্যাপারটা কোন দিকে যায় সেটা দেখার অপেক্ষায় ছিল ফুটবল দুনিয়া। শেষ পর্যন্ত ফুটবলপ্রেমীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে আবার মাঠে ফিরলেন নেইমার।
নেইমারের এই দুঃসময়ে অনেকেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। ভক্ত–সমর্থকদের শুভকামনা জানানো সেই বার্তা থেকেই প্রেরণা খুঁজে নেন নেইমার। তিনি যোগ করলেন, পরিবার, সতীর্থদের সমর্থন ছিল। আমাকে পাঠানো অনুপ্রেরণাদায়ক বার্তাগুলো শক্তি জুগিয়েছে। চোটে পড়ার পর যাঁরা এই বার্তাগুলো আমাকে পাঠিয়েছেন, প্রার্থনা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ'।
ক্যামেরুন ম্যাচের পরেও ব্রাজিল দলের চিকিৎসকও নেইমারের খেলার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারছিলেন না। তখন অনেকের ধারণা হচ্ছিল, বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যদি নাও যান, অন্তত সেমিফাইনাল আগে মাঠে নামতে পারবেন না। সব আলোচনার অবসান ঘটিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন নেইমার, হয়েছেন ম্যাচ সেরাও।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)