Christian Atsu, Turkey Earthquake 2023: ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকলেও বেঁচে ফিরলেন আতসু, হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা
Turkey Earthquake 2023: গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক বার ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। সেই দেশের হাতাই প্রদেশের বিমানবন্দরে বিপর্যয়ের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ভূমিকম্পের চাপে আড়াআড়ি ভাবে ওই বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল ধরেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক্রিশ্চিয়ান আতসু (Christian Atsu) ও তাঁর পরিবারের জন্য সুখবর। বেঁচে আছেন ঘানা (Ghana) জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার। তুরস্কে ভূমিকম্পের (Turkey Earthquake 2023) পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। সেই খবর সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভূমিকম্পের (Earthquake) পর তুরস্কে (Tukey) ৪০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া মানুষদের তালিকায় ছিল আতসুর নাম। শেষ পর্যন্ত তাঁকে উদ্ধার করা হলেও, শরীরের একাধিক জায়গায় চোট পেয়েছেন এই উইঙ্গার।
ঘানা ও চেলসির (Chelsea) প্রাক্তন ফুটবলার আতসু বর্তমানে তুরস্কের হাতায়স্পোরের (Hatayspor) ক্লাবে খেলেন। মনে করা হচ্ছে যে তিনি যে বিল্ডিংয়ে তিনি ছিলেন, সেই বাড়িটি ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তুর্কি প্রচারমাধ্যম জানা গিয়েছে, হাতায়স্পরের মুখপাত্র মুস্তাফা ওজাত (Mustafa Özat) এই কথা বলেছে। ওজাত দাবি, সেই ক্লাবের ডিরেক্টর তানের সাভুতকেও (Taner Savut) একটি ভেঙে পরা বাড়িতে আটকে রয়েছেন। ক্লাব কর্মকর্তারা সেই সময় দুজনের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারেননি। অন্তত আরও দুই হাতায়স্পোর খেলোয়াড়কে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করা হয়েছিল।
যদিও পরবর্তী সময় আতসুকে উদ্ধার করা হয়। তুরস্কের এক সাংবাদিক বলেন, "ক্রিশ্চিয়ান আতসু জীবিত। তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন তিনি। শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁর। ডানপায়ে চোট রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আতসুকে।" তবে আতসুকে পাওয়া গেলেও তানের সাভুতকেওর খোঁজ এখনও চলছে। ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই তিনি আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক বার ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। সেই দেশের হাতাই প্রদেশের বিমানবন্দরে বিপর্যয়ের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ভূমিকম্পের চাপে আড়াআড়ি ভাবে ওই বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল ধরেছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সোমবারের ভূমিকম্পের জেরে প্রায় ৪০০০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মাটি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার গভীরে। সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোরে ৪টে নাগাদ কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্ক।