মাস্ক পরে খেললেন ক্রিকেটার, গান বেঁধে দিল্লির আপ সরকারকে ব্যঙ্গ করলেন গম্ভীর
দ্বিতীয় সেশনে মুম্বইয়ের সিদ্ধেশ লাড মাস্ক পরে ব্যাট করতে নামলেন।
নিজস্ব প্রতিনিধি : বায়ু দূষণের জেরে জেরবার দিল্লি। দেশের রাজধানী যেন ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে আবদ্ধ। পুরো শহর দূষণের জেরে সমস্যায় রয়েছে। দিল্লির এমন অবস্থা দেখে পরিবেশবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এমনকী, শহরজুড়ে দূষণ নিয়ে সচেনতা ছড়ানোরও অনেক চেষ্টা করেছেন তাঁরা। কিন্তু লাভ কিছুই হচ্ছে না। উল্টে দূষণ ঘিরে দিল্লির অবস্থা আরও যেন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় কার্নাল সিং স্টেডিয়ামে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের রনজি ম্যাচ ছিল। দ্বিতীয় সেশনে মুম্বইয়ের সিদ্ধেশ লাড মাস্ক পরে ব্যাট করতে নামলেন। একে তো এমন দূষিত পরিবেশ। সেখানে দিল্লির এমন আবহাওয়ায় কেন খেলা দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- সিরিজ জিতল ভারত, হাঁটু গেড়ে বসে আত্মসমর্পণ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
দিল্লির এমন পরিস্থিতির জন্য গৌতম গম্ভীর কিন্তু আম আদমি পার্টির সরকারকে দোষারোপ করতে শুরু করেছেন। গতকালই আপ সরকারকে ব্যঙ্গ করে টুইট করেছিলেন গম্ভীর। তার পর আজ সিদ্ধেশের মাস্ক পরে খেলতে নামায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে দাঁড়াল। আপাতত দিল্লির দূষণমুক্ত হওয়ার ব্যাপারে কোনও পূর্বাভাস নেই। ফলে দিল্লি-এনসিআর থেকে রনজি ম্যাচ সরানোর ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপর চাপ বাড়ছে। ইতিমধ্যে দিল্লি, রেলওয়েজ, সার্ভিসেসের মতো দলগুলো হোম ম্যাচ দিল্লির বাইরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন- টিম ইন্ডিয়ার খাদ্য তালিকায় গোমাংস, মেনু বদলাতে আসরে নামল বিসিসিআই
আপ সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন গম্ভীর। আর তার জন্য কেজরিওয়ালের সরকারকে ব্যঙ্গ করে গানও বেঁধে ফেলেছেন তিনি। একদিকে ডেঙ্গু, অন্যদিকে বায়ু দূষণ। জোরা আক্রমণে কার্যত কোণঠাঁসা হয়ে পড়ছে দিল্লির প্রশাসন। এদিকে, প্রতিদিনই যেন বাড়ছে দূষণ। যার জেরে রাজধানীতে মানুষে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রেও চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
“दर्दे दिल, दर्दे जिगर दिल्ली में जगाया AAP ने, पहले तो यहाँ Oxygen था, Oxygen भगाया AAP ने।” @ArvindKejriwal @AamAadmiParty our generations are going up in smoke like your false promises. U had 1 full year to tame dengue &pollution, sadly you couldn’t control either. Wake up!!! pic.twitter.com/xePi5mubO5
— Gautam Gambhir (@GautamGambhir) October 31, 2018