Mohun Bagan: ন'জনের বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট তুলে আনল মেরিনার্স

Hugo Boumous goal guides Mohun Bagan to win against nine-man Bengaluru FC: মোহনবাগানের জয়ের ধারা অব্যহত। প্রথম ম্য়াচ পঞ্জাবকে উড়িয়ে দেওয়ার পর এবার দ্বিতীয় ম্যাচেও মেরিনার্স জিতল বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে।

গোলের পর বুমোসের উচ্ছ্বাস। ছবি-মোহনবাগানের সৌজন্যে

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘরের মাঠে ব্যাক-টু-ব্যাক জয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan Super Giant)। দুরন্ত জয়েই আইএসএল (ISL 2023-24) অভিযান শুরু করেছিল মেরিনার্স। গত শনিবার অভিষেককারী পঞ্জাব এফসিকে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা ৩-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Vivekananda Yuba Bharati Krirangan)। বুধবার অর্থাৎ আজ ফের যুবভারতীতেই ফুল ফোটাল মোহনবাগান। জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) শিষ্যরা, সিমন গ্রেসনের (Simon Grayson) বেঙ্গালুরু এফসি-র (Bengaluru FC)  বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জিতে তিন পয়েন্ট তুলে আনল। এদিন মোহনবাগানের হয়ে একমাত্র গোলটি আসে (Hugo Boumous) হুগো বুমোসের পা থেকে।

এদিন প্রথমার্ধে মোহনবাগানের খেলা একেবারেই চোখে লাগেনি। গোলে কোনও বলই রাখতে পারেনি লিগের অন্যতম সেরা দল। পরিসংখ্যান বলছে গোলের উদ্দেশে মোহনবাগানের শটের সংখ্যা ছিল আট, প্রতিপক্ষের পাঁচ। বেঙ্গালুরুর দুটি শট গোলেই ছিল। অথচ ৬৭ শতাংশ বল পজেশন ছিল মোহনবাগানের। সেখানে ৩৩ শতাংশ বেঙ্গালুরুর। মোহনবাগান কিন্তু পাসও খেলেছে অনেক বেশি। বেঙ্গালুরুর যেখানে ১৩৮ ছিল, সেখানে মোহনহবাগানের ২৮৪।

দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান খেলার ঝাঁজ কিছুটা বাড়ায়। ম্য়াচের ৬৭ মিনিটে ভাঙে ডেডলক। এই প্রথম গোলের উদ্দেশে আসে শট, আর তাতেই খাতা খুলে ফেলে মোহনবাগান। সৌজন্যে ফরাসি মিডফিল্ডার বুমোস। মনবীরের ক্রস থেকে জোভানোভিচ কোনও মতে বলটা ক্লিয়ার করেছিলেন। আর সেখান থেকে খেলাটা গড়ে দেন বক্সের সামনে থাকা সুযোগসন্ধানী জেসন কামিংস। জোভানোভিচের ক্লিয়ার করা বলটা নিয়ে নিজে শট না মেরে, তিনি বুমোসকে বল বাড়ান। গুরপ্রীতকে পরাস্ত করতে বুমোস কোনও ভুলই করেননি। এই গোলের কিছুক্ষণ পরেই ফেরান্দো একসঙ্গে তিনজনকে তুলে নেন। কারণ তিনি আগেই বলেছেন যে, আইএসএলের সঙ্গে খেলতে হচ্ছে এএফসিও। ফলে তিনি সকলকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাবেন। কামিংস, বুমোস ও আনোয়ারকে তুলে  গ্লেন মার্টিন্স, আর্মান্দো সাদিকু এবং ব্রেন্ডন হামিলকে নামান তিনি। তবে এক গোল হজম করা বেঙ্গালুরুর সমস্যা বাড়ে ৭৫ মিনিটে। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে সুরেশ ওয়াংজাম মাঠ ছাড়েন। ১০ জনের দল লড়াই চালিয়েছিল সমতায় ফেরার। কিন্তু ৯২ মিনিটে তারা ফের ধাক্কা খায়। ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন রোশন। এরপর ন'জনে খেলা বেঙ্গালুরু। কিন্তু স্কোরলাইনে কোনও প্রভাব পড়েনি। আপাতত কয়েক'টি দিন বিশ্রামে মেরিনার্স। আগামী সোমবার এএফসি কাপে মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলবেন ফেরান্দোর শিষ্যরা।