বাদ যাওয়া Wriddhiman Saha-র কামব্যাক নিয়ে অদ্ভুত যুক্তি দিল BCCI
ঋদ্ধির কেরিয়ার কি শেষ?
সব্যসাচী বাগচী: অজিঙ্কা রাহানে, চেতেশ্বর পূজারা ও ইশান্ত শর্মার মতো ঋদ্ধিমান সাহা-ও বাদের তালিকায় চলে গেলেন। তাহলে কি তাঁর কেরিয়ার শেষ? ঋদ্ধির আন্তর্জাতিক কেরিয়ার যে প্রায় শেষের দিকে সেটা প্রকাশ্যে না বললেও হাবেভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে গেলেন মুখ্য নির্বাচক চেতন শর্মা। তাই তাঁর সাফ কথা জাতীয় দলের কামব্যাক করতে হলে রঞ্জি ট্রফি খেলতেই হবে।
ঋদ্ধি যে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে বাদ যাবেন সেই আন্দাজ আগেই করা গিয়েছিল। তবে তাঁকে ছেঁটে ফেলা ও দলে কামব্যাক করা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রেখে দিলেন খোদ চেতন শর্মা। অজিঙ্কা রাহানে, চেতেশ্বর পূজারা গত দুই বছর নিজেদের যোগ্যতা অনুসারে পারফর্ম করতে পারেননি। তাই বাদ গেলেন। ১০৫টি টেস্ট খেলা ইশান্ত শর্মা সেই ইংল্যান্ড সফর থেকে দলের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু ঋদ্ধি তো সুযোগই পাননি। কানপুর টেস্টে ঘাড়ে চোট নিয়ে লড়াকু অর্ধ শতরান করার পরেও দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। তাঁকে কিনা মাঠে নেমে পারফরম্যান্স করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে!
যদিও ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে জি ২৪ ঘণ্টার প্রশ্নের জবাবে বলেন, “ইশান্ত শর্মা, ঋদ্ধিমানদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। ইশান্ত আর ঋদ্ধিকে বলেছি, রঞ্জি ট্রফি খেলে কামব্যাক করতে হবে। দীর্ঘদিন ক্রিকেট না খেললে কীভাবে দেখাবেন যে আপনার দক্ষতা একইরকম রয়েছে। সেই জন্য রঞ্জি ট্রফি খেলাটা খুব জরুরি। আমরা রঞ্জি ট্রফি খেলার ওপর জোর দিচ্ছি। এই দুটি টেস্টের জন্য ওদের চারজনকে ভাবা হচ্ছে না। সেটা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শেষে বলে দেওয়া হয়েছিল।“
আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। জাতীয় দলে জায়গা ধরে রাখতে গেলে রঞ্জি ট্রফি খেলতেই হবে। বোর্ড থেকে এমন নির্দেশ পাওয়ার পরেও ঋদ্ধি রঞ্জি না খেলার মতো বড় সিদ্ধান্ত নিলেন! নিজের কেরিয়ারের এত বড় ক্ষতি করে রঞ্জি থেকে সরে দাঁড়ালেন?
চেতনের ফের অবাক করা মন্তব্য, “সিএবি বলতে পারবে, কেন খেলছে না। আমরা ওকে বলেছি, রঞ্জি খেলতে। আনফিট থাকলে কিংবা ওয়ার্কলোড বেশি না থাকলে রঞ্জি খেলতে হবে। এটা শুধু ঋদ্ধির ক্ষেত্রে নয়, রাহানে-পূজারা, এমনকি হার্দিক পান্ডিয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।“
চেতনের কথায় বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না যে রাহুল দ্রাবিড়ের টিম ম্যানেজমেন্ট সামনের দিকে তাকাতে চাইছে। আর তাই ঋষভ পন্থের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে জুড়ে দেওয়া হল ২৮ বছর কোনা ভরতকে। যদিও মুখ্য নির্বাচক আবার বলছেন,” টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করে, প্রথম এগারোতে কারা খেলবে, কারা খেলবে না। অনেকদিন ধরেই কেএস ভরতকে নজরে রাখা হয়েছে। তবে, একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে, দুটি ম্যাচে ওদের বিশ্রাম দেওয়া মানে একেবারে দল থেকে ছেঁটে ফেলা নয়।“
এরপর জি ২৪ ঘণ্টার তরফ থেকে চেতনকে ফের প্রশ্ন করা হয় যে, ঋদ্ধির ক্ষেত্রে বয়স কত বড় ফ্যাক্টর? আবার ধোঁয়াশা বজায় রেখে জুড়ে দিলেন, ‘বয়সকে আমরা প্রাধান্য দিই না। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে একটা সময় ভাবতেও হয়।“
শ্রীলঙ্কা সফরে ডাক পাবেন না, সেটা আগেই জানতেন ঋদ্ধি। বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। যদিও সেখানে তাঁর ব্যক্তিগত কারণ এবং জৈব বলয়ে থাকার ক্লান্তিকে বড় করে দেখিয়েছিলেন।
কিন্তু মুখ্য নির্বাচক ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই যে ভাবে ঋদ্ধির ভবিষ্যৎ নিয়ে পোস্টমর্টেম করলেন সেটা কিন্তু ক্রিকেট পন্ডিতদের ভাল ঠেকছে না।
আরও পড়ুন: INDvsSL: Virat Kohli পরবর্তী যুগে টেস্ট দলের নতুন নেতা Rohit Sharma
আরও পড়ুন: INDvsSL: বিশ্রামে Virat-Pant, ফিরলেন Ravindra Jadeja, Rohit-এর ডেপুটি Jasprit Bumrah