Rohit Sharma, IND vs PAK, ICC T20 World Cup 2022: বুমরার জায়গায় কেন দলে এলেন মহম্মদ শামি? পাক যুদ্ধের আগে মুখ খুললেন রোহিত
Rohit Sharma, IND vs PAK, ICC T20 World Cup 2022: অজিদের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ার্ম আপ ম্যাচের ১৯ ওভার পর্যন্ত মাঠেই ছিলেন না শামি। সবাইকে চমকে দিয়ে শেষ ওভারে শামির হাতে বল তুলে দেন রোহিত। সেই সময় জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১১ রান। হাতে ছিল চার উইকেট।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টিভি-মোবাইলে ম্যাচ জেতানো ব্যাটিং কিংবা বোলিং, দেখা চোখের শান্তি। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সেই মুহূর্তগুলো ভাইরাল যায় মুহূর্তের মধ্যেই। তবে সেই আগুনে পারফরম্যান্সের নেপথ্যে থাকে অনেক লড়াই। কঠোর পরিশ্রম,দায়বদ্ধতা ও আত্মত্যাগ। সেগুলো একসঙ্গে মিশিয়েই জাতীয় দলে রাজার মতো কামব্যাক করলেন বাংলার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। তাও আবার অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে শেষ ওভারে! হোক না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (ICC T20 World Cup 2022) আগে 'ওয়ার্ম আপ ম্যাচ'। মোরাদাবাদের জমিদার পরিবারের ছেলে সাদা বল হাতে নিয়েই তাঁর ঠাটবাঁট বুঝিয়ে দিলেন। আর তাই তো পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে বদলার ম্যাচে নামার আগে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) বুঝিয়ে দিলেন যে জসপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) বদলে শামিই আদর্শ বিকল্প।
এদিন ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে শামিকে একেবারে শেষ মুহূর্তে সুযোগ দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। রোহিত বলেন, 'শামি একজন অভিজ্ঞ জোরে বোলার। দেশের হয়ে অনেক বছর ধরে খেলেছে। এমনকি শামির বিশ্বকাপ খেলারও অভিজ্ঞতা আছে। বুমরা চোট পাওয়ার পর আমাদের কাছে সেরা বিকল্প ছিল শামি।' কিন্তু তাঁকে অজিদের বিরুদ্ধে শুরুতে মাঠে না নামালেও শেষ ওভারে হাতে বল তুলে দেওয়ার কারণ? ভারতের অধিনায়ক ফের যোগ করলেন, 'বিশ্বকাপ দলে ওকে রাখার জন্যই কিন্তু ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের দলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের জন্য ও মাঠে নামতে পারল না। তবে আমি জানতাম শামির ম্যাচ প্র্যাকটিসের দরকার নেই। আমরা সবাই জানি শামি নতুন বলে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে। কিন্তু ডেথ ওভারে কেমন পারফর্ম করে সেটা দেখার জন্যই শেষ ওভারে বল দিয়েছিলাম।'
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
অজিদের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ার্ম আপ ম্যাচের ১৯ ওভার পর্যন্ত মাঠেই ছিলেন না শামি। সবাইকে চমকে দিয়ে শেষ ওভারে শামির হাতে বল তুলে দেন রোহিত। সেই সময় জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১১ রান। হাতে ছিল চার উইকেট। প্রথম বলে দুই রান নেন অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স। দ্বিতীয় বলেও দুই রান নেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়ক। প্রথম দুটি বলেই শামি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি কী করতে চাইছেন। ইয়র্কার করতে চাইছিলেন শামি।
তারপর তৃতীয় বলে কামিন্সকে আউট করেন ভারতীয় পেসার। বলটা অবশ্য আহামরি ছিল না। উইকেটটা আসলে বিরাট কোহলির বলা যেতেই পারে। ইয়র্কার লেংথে বল করার চেষ্টা করলেও ফুলটস ‘উপহার' পান কামিন্স। লং অনের দিকে বড় শট মারেন। নিশ্চিত ছয় হচ্ছিল বলটা। কিন্তু একেবারে নিখুঁতভাবে ছোঁ মেরে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরে নেন বিরাট।
চতুর্থ বলে কিছুটা শর্ট লেংথে বল করেন শামি। তাতে রান আউট হয়। শেষ দুটি একেবারে নিখুঁত ইয়র্কার ছিল। সেই ইয়র্কারের কোনও জবাব ছিল না অজিদের কাছে। দু'বল বোল্ড হয়ে যান দুই অজি। তার ফলে ছ'রানে জিতে যায় ভারত। এখন দেখার বাবর আজমদের বিরুদ্ধে শামি নিজেকে কতটা মেলে ধরতে পারেন।