Umesh Yadav: বন্ধুকে বিশ্বাস করে ম্যানেজার বানিয়ে ছিলেন! পরিণামে ভয়ংকর প্রতারিত ভারতীয় পেসার
India pacer Umesh Yadav allegedly cheated of Rs 44 lakh: বন্ধুকে বিশ্বাস করে ম্যানেজার বানিয়ে ছিলেন! পরিণামে বিরাট ঠকে গেলেন ভারতীয় পেসার। বন্ধু উমেশের থেকে টাকা নিয়ে উমেশের জন্যই জমি কিনলেন বন্ধু। কিন্ত সেই জমির মালিকানা উমেশের নামে করেননি। পাশাপাশি টাকাও ফেরত দেননি।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতীয় দলের তারকা পেসার উমেশ যাদব (Umesh Yadav) ভাবতেও পারেননি যে, বন্ধুকে বিশ্বাস করার পরিণতি এমনটা হতে পারে। উমেশ তাঁর বন্ধু শৈলেশ ঠাকরেকেই (Shailesh Thakre) নিজের ম্যানেজার বানিয়ে ছিলেন ভালো সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে। ম্যানেজার হওয়ার পর উমেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, আয় কর ও অর্থনৈতিক যে কোনও কাজ কর্মেরই দেখভাল করতেন শৈলেশ। উমেশ সেই বন্ধুকেই ৪৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন জমি কেনার জন্য। অথচ উমেশ ওই টাকা দিয়ে জমি তো কেনেন, কিন্ত সেই জমির মালিকানা উমেশের নামে করেননি! বাধ্য হয় উমেশ শনিবার পুলিসের কাছে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিস কাউকে গ্রেফতার করেনি। তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: Rohit Sharma: কিছুতেই করা যাবে না এমনটা, শামি-সিরাজদের কেন বাধা দিলেন রোহিত? ভিতরের খবর এল বাইরে
নাগপুরের ৩৫ বছরের জোরে বোলার উমেশ। তাঁর বন্ধু তাঁর চেয়ে বছর দুয়েকের বড়। নাগপুরের কোরাদির বাসিন্দা শৈলেশ। ২০১৪ সালে তিনি উমেশের ম্যানেজার হয়েছিলেন। যদিও পরে তাঁর চাকরি চলে যায়। নাগপুর পুলিসের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, 'বন্ধুতার জন্য়ই শৈলেশ ধীরে ধীরে আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন উমেশের। ক্রিকেটারের যাবতীয় আর্থিক বিষয়ের দেখভাল করতেন তিনি। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে আয় কর ও অনান্য অর্থনৈতিক কাজ। উমেশ নাগপুরে জমির খোঁজে ছিলেন। শৈলেশ এরপর এক বন্ধ্যা এলাকায় ৪৪ লক্ষ টাকায় জমি পেয়েছেন বলেই উমেশকে জানান। উমেশ ওই টাকা শৈলেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন। এরপর উমেশ বলেছিলেন তাঁর নামে জমি ট্রান্সফার করতে। কিন্তু পরে শৈলেশ যা করেননি। এমনকী টাকা পাঠাতেও অস্বীকার করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ (অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের জন্য শাস্তি) ও ৪২০ (প্রতারণা এবংঅসাধু উপায়ে সম্পত্তি বিতরণে প্ররোচিত করা) ধারায় শৈলেশের বিরুদ্ধে মামলা রজু করেছে কোরাদি পুলিস'। এখন দেখার উমেশ কত তাড়াতাড়ি সুবিচার পান।