পথ দেখাবে ভারত! ক্রিকেটারদের জন্য করোনা সুরক্ষা পোশাক তৈরি শুরু এদেশেই
এসজির কর্তারা জানিয়েছেন, মেরঠের কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীকে এই পোশাক দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন- স্যানপারিল গ্রিনল্যান্ডস। ক্রিকেট মাঠে যে সংস্থা এসজি নামেই বেশি পরিচিত। করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে এই সংস্থাই এবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। কারণ, মাঠে ক্রীড়াবিদদের করোনা থেকে বাঁচার রাস্তা খুঁজতে তারাই এখন পথপ্রদর্শক। আর ভারতের এই সংস্থাই এখন সারা বিশ্বকে রাস্তা দেখাতে পারে। এসজি দাবি করেছে, তারা একটি পোশাক তৈরির কাজ শুরু করেছে। যে পোশাক মাঠে ক্রীড়াবিদদের করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে কার্যকরী হতে পারে। চলতি মাসের শেষের দিকে এই বিশেষ পোশাক বাজারে আসে পারে বলে জানিয়েছেন এসজি-র কর্তারা। ক্রিকেটারদের সুরক্ষার দিকে ফোকাস থাকলেও এসজির কর্তারা জানিয়েছেন, এই পোশাক যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাজে লাগতে পারে। এমনকী সাধারণ মানুষ চাইলেও এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
দস্তানা, মাস্ক, জ্যাকেট এবং মাথা ঢাকার হুডি থাকবে পোশাকের উপরের অংশে। নিচের অংশে ট্রাউজার এবং জুতোর কভার। সঙ্গে একটি ব্যাগ। এই সুরক্ষা পোশাকের দামও বেশি নয়। ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকার মধ্যে। ব্যবহারকারী করোনা থেকে বাঁচতে বাড়তি নিরাপত্তা পাবেন এই পোশাকে। সজির বিপণন ও বিক্রয় পরিচালক পরশ আনন্দ বলেছেন, আমরা ইতিমধ্যে বিসিসিআই-এর সঙ্গে এই পোশাকের ব্যাপারে কথা বলেছি। পোশাকের নুমনা আসার পর আমরা বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। মাঠে ক্রিকেট ফিরতে এখনও কিছুটা সময় বাকি রয়েছে। বিসিসিআই ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার দিক সুনিশ্চিত করতে চাইছে। আমরাও চাই ক্রিকেট ফেরার আগে নিজেদের যেন প্রস্তুত রাখতে পারি। আশা করছি এই পোশাক করোনা সুরক্ষায় কাজে লাগবে।
আরও পড়ুন- ভারতে বর্ণবিদ্বেষের শিকার ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার, 'কালু' বলে ডাকা হত তাঁকে
এসজির কর্তারা জানিয়েছেন, মেরঠের কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীকে এই পোশাক দেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তবে এমনিতে পিপিই কিট পরলে গরম লাগে ব্যবহারকারীর। এক্ষেত্রেও কি তেমন হবে! পরশ আনন্দ জানিয়েছেন, সেই নিরাপত্তারক্ষীদের থেকে প্রতিক্রিয়া না পেলে পোশাকের গুণগত মান সম্পর্কে একশো শতাংশ বোঝা যাবে না। যদি পোশাকে কিছু বদলের প্রয়োজন হয় তা হলে তাঁরা সেটা করবেন। বিসিসিআই যদি সত্যিই এই পোশাক ব্যবহারে অনুমতি দেয় তা হলে করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেটারদের হয়তো নতনভাবে দেখা যাবে। আর করোনার পর যে কোনও কিছুই আগের মতো থাকবে না তা তো এখন আমরা সবাই মোটামুটি বুঝতেই পারছি।