WATCH | Naveen-ul-Haq: নবীনের জন্য ইডেনে 'কোহলি-কোহলি' শব্দব্রহ্ম! দর্শকদের মুখে আঙুল দিতে বলেন পেসার!
Naveen-ul-Haq' gets Kohli Kohli chant at Eden Gardens: নবীন-উল-হককে ট্রোল করলেন বিরাট কোহলির ফ্যানরা। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে নয়, খাস কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন কোহলি ভক্তরা। যে ঘটনার ভিডিয়ো এখন ভাইরাল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আইপিএল সিক্সটিনে (IPL 2023) লিগের শেষ ম্যাচে গত শনিবার, কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) মুখোমুখি হয়েছিল লখনউ সুপার জায়েন্টসের (Lucknow Super Giants)। মাত্র এক রানে হেরেই কেকেআরকে বিদায় নিতে হয়েছে এই আইপিএল থেকে। আর এই ম্যাচে ইডেনের গ্যালারি থেকে বারবার শোনা গিয়েছে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) নামে জয়ধ্বনি। 'কোহলি-কোহলি' শব্দব্রহ্মে বারবার মাতিয়েছেন দর্শকরা। কিন্তু কলকাতা খেলল লখনউয়ের সঙ্গে। নাইটদের বিরুদ্ধে আরসিবি মাঠে নামেনি! তাহলে কেন কোহলির নামে গগণভেদী চিৎকার? যদিও 'কোহলি-কোহলি' শব্দব্রহ্মের নেপথ্যে রয়েছেন এলএসজি পেসার নবীন-উল-হক (Naveen-ul-Haq)। নবীন যতবার বল করেছেন, ততবার ইডেন কোহলির নাম যপ করেছে! যাঁরা আইপিএল নিয়মিত ফলো করেছেন, তাঁরা জানেন যে, কোহলির সঙ্গে নবীনের ঝামেলা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। ফলে বছর তেইশের আফগান পেসারকে এভাবে ট্রোল করেছেন ইডেনে আসা কোহলি ভক্তরা। নবীন সেই ভক্তদের মুখে আঙুল দিতে বলেন।
আইপিএল ইতিহাসে চোখ রাখলে দেখা যাবে যে, মাঠের মধ্যে তুমুল ঝামেলায় জড়িয়ে, খেলোয়াড়দের অগ্নিশর্মা হওয়ার ঘটনা একেবারেই নতুন কিছু নয়। চলতি আইপিএলে লখনউ সুপার জায়েন্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ তেমনই এক উদাহরণ। কেএল রাহুলদের ঘরের মাঠ একানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল। একাধিকবার কথাকাটিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন ক্রিকেটাররা। উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়ান আরসিবি মহারথী বিরাট, এলএসজি পেসার নবীন ও এলএসজি মেন্টর গৌতম গম্ভীর। আইপিএলের আচরণবিধি ভঙ্গের অপরাধে কোহলি-গম্ভীরের ১০০ শতাংশ ও নবীনের ৫০ শতাংশ ম্যাচ-ফি কেটে নিয়েছিল বিসিসিআই। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজি ৫০ লক্ষ টাকায় এই বছর নবীনকে নিলামে নিয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-২০ ক্রিকেটে নবীন কিন্তু পরিচিত মুখ।
আরও পড়ুন: Rinku Singh: রিঙ্কুতে মজে প্রাক্তন কেকেআর ক্যাপ্টেন! ম্যাচের পর ছবি পোস্ট করে বিরাট বার্তা
নবীনের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার পর কোহলি ইনস্টাগ্রামে সুকৌশলে একটি স্টোরি দিয়েছিলেন। তিনি রোমান শাসক মার্কাস অরেলিয়াসকে উদ্ধৃত করেছিলেন। কোহলি লিখেছিলেন - Everything we hear is an opinion, not a fact. Everything we see is a perspective, not the truth। বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায়, 'আমরা যা শুনি, সবই মতামত, কোনও প্রকৃত ঘটনা নয় । আমরা যা দেখি তা কোনও দৃষ্টিকোণ থেকে। যা সত্য নয়।' নবীনও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। তিনি লেখেন, 'আপনার প্রাপ্য আপনি পাবেন, এটাই হওয়া উচিত। এভাবেই চলে।' নিজের দেশের বাইরেও বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও কুড়ি-কুড়ির ক্রিকেটে নিজেকে চিনিয়েছেন। আইপিএল খেলতে আসার আগে নবীনের বায়োডেটায় লেখা ছিল ১২২টি টি-২০ ম্যাচে উইকেটের সংখ্যা ১৫৩। গড় ২২.০৯ ও ইকোনমি রেট ৭.৯৪। সেরা পরিসংখ্যান ১১ রানে ৫ উইকেট। পাল্টা উত্তর দেওয়া এই প্রথম নয় নবীনের। ইতিহাস বলছে তিনি মহম্মদ আমির ও শাহিদ আফ্রিদিদের ) সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন! নবীন কিন্তু ওই ঘটনার পর সাফ জানিয়ে ছিলেন যে, বিরাট কিছু বলেছিলেন বলেই তিনি পাল্টা দিয়েছিলেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সেই সময়ে লেখা হয়েছিল যে, ম্যাচের পর নবীন তাঁরই এক সতীর্থকে বলেছেন, 'আমি আইপিএল খেলতে এসেছি, গালাগালি খেতে আসিনি'। নবীন বনাম কোহলি ইস্যু এখনও টাটকা।