ইনি কোনও রান করেননি, কোনও উইকেট পাননি, ক্যাচও ধরেননি, তবু ম্যাচের সেরা!
কোনও ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হতে হলে কেমন পারফরম্যান্স করতে হয়?হয় ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি বা বল হাতে চার/পাঁচ উইকেট। এমনটাই তো দেখে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু জানেন কী এমনও একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়েছে যেখানে ম্যাচে সেরার পুরস্কার পেয়েছেন এমন এক ক্রিকেটার যেদিন স্কোরশিটে তিনি একেবারে শূন্য ছিলেন। মানে ব্যাট হাতে তিনি কোনও রান করেননি। বল হাতে কোনও উইকেট পাননি। ফিল্ডার হিসেবেও অবদান কার্যত শূন্য (কোনও ক্যাচ ধরেননি)। কিন্তু দিনের শেষে তিনিই নির্বাচিত হন ম্যাচের সেরা।
ওয়েব ডেস্ক: কোনও ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হতে হলে কেমন পারফরম্যান্স করতে হয়?হয় ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি বা বল হাতে চার/পাঁচ উইকেট। এমনটাই তো দেখে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু জানেন কী এমনও একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়েছে যেখানে ম্যাচে সেরার পুরস্কার পেয়েছেন এমন এক ক্রিকেটার যেদিন স্কোরশিটে তিনি একেবারে শূন্য ছিলেন। মানে ব্যাট হাতে তিনি কোনও রান করেননি। বল হাতে কোনও উইকেট পাননি। ফিল্ডার হিসেবেও অবদান কার্যত শূন্য (কোনও ক্যাচ ধরেননি)। কিন্তু দিনের শেষে তিনিই নির্বাচিত হন ম্যাচের সেরা।
ম্যাচটা হয়েছিল হারারেরতে ২৩ জুন, ২০০১ সালে। ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান পেসার ক্যামেরন কাফি। কাফি সেই ম্যাচে ১০ ওভার বল করে কোনও উইকেট পাননি। অথচ সেই ম্যাচে তাঁর দলের অন্য দুই বোলার মার্ভন ডিলন, স্যাময়ুলেস পেয়েছিলেন ৩ করে উইকেট। কিন্তু ম্যাচ সেরার পুরস্কার বাছতে গিয়ে কাফির ১০ ওভারে ২টি মেডেন সহ মাত্র ২০ রান দেওয়া অসাধারণ স্পেলটাকে স্বীকৃত দেওয়া হয়। আজও এই পুরস্কার যারা বেছেছেন তাদের প্রশংসা করা হয়। ম্যাচ সেরার পুরস্কার মানে শুধু উইকেট পাওয়া বা রান করা নয়। ম্যাচ সেরা হল তিনি যিনি জয়-পরাজয়ে ফারাক গড়ে দেন কিংবা আলাদা করে নজর কাড়েন।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়া নিয়ে নানা বিতর্ক হয়। কিন্তু কাফির সেদিনের নির্বাচন নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। সেই ম্যাচে ও.ইন্ডিজ জিতেছিল ২৭ রানে। জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক গ্র্যান্ড ফ্লাওয়ার বলেছিলেন, কাফির স্পেলটাই আমাদের মনোবলটা নাড়িয়ে দিয়েছিল। বুঝুন অবস্থা কতটা ভাল বল করলে উইকেট না পেয়েও এত বড় পুরস্কার পাওয়া যায়।
সেই ম্যাচের সংক্ষিপ্ত স্কোরবোর্ড
ও.ইন্ডিজ-২৬৬, জিম্বাবোয়ে- ২৩৯