Mohammedan SC, Durand Cup 2022 : বিপিনের শেষ মুহূর্তের গোলে সাদা-কালো শিবিরের স্বপ্নভঙ্গ! ফাইনালে মুম্বই
Mohammedan SC, Durand Cup 2022 : ৯০ মিনিট পর্যন্ত দুটো দলই গোলশূন্য অবস্থায় ছিল। কিন্তু ৯১ মিনিটে ছাংতের পাস থেকে বিপিনের গোল ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়।
মুম্বই সিটি এফসি: ১ (বিপিন সিং)
মহামেডান: ০
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চলছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। একেবারে ৯১ মিনিটে গোল হজম করে চলতি ডুরান্ড কাপ (Durand Cup 2022) থেকে বিদায় নিল মহামেডান স্পোর্টিং (Mohammedan SC)। পুরো প্রতিযোগিতায় দারুণ পারফরম্যান্স করার পরেও, সেমি ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ! সাদা-কালো শিবিরকে হারানোর সুবাদে প্রথমবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে চলে গেল মুম্বই সিটি এফসি (Mumbai City FC)। একমাত্র গোল করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন বিপিন সিং (Bipin Singh)।
গতবারের রানার্স মহামেডান এ বারের ডুরান্ড কাপে দারুণ ছন্দে ছিল। এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টে দুরন্ত গতিতে এগোচ্ছিল। কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters), এফসি গোয়ার (FC Goa) মতো আইএসএল-এর (ISL) দলের বিরুদ্ধে জয়। সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri) -রয় কৃষ্ণাদের (Roy Krishna) বেঙ্গালুরু এফসি-র (Bengaluru FC) বিরুদ্ধে ড্র। দাপটের সঙ্গে ৯০ মিনিটের যুদ্ধে খেলছিল মহামেডান। কিন্তু ক্ষণিকের ভুলে গোল হজম করে ফাইনালে খেলা ও কাপ জয়ের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। ইনজুরি টাইমে মুম্বইয়ের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন বিপিন।
Durand Cup (@thedurandcup) September 14, 2022
এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) ও ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal) গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছিল। কলকাতার একমাত্র দল হিসেবে জ্বলছিল আন্দ্রে চের্নিশভের দল। সেমিফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিল। তবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বুধবারের সেমিফাইনাল ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও দলই। প্রথমার্ধে দুটো টিমই গোল করার মরিয়া চেষ্টা করেছে। শেখ ফৈয়াজ, অ্যাবিওলা ডৌড়ারা বারবার আক্রমণে উঠে এসেছেন। কিন্তু গোল আসেনি। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুটি দল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে গুরকিরতের সঙ্গে ওয়াল পাস খেলে গোলের সামনে বল পেয়ে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের গ্রেগ স্টুয়ার্ট। তবে মহামেডানের গোলকিপার জোথান মাওইয়া দারুণ সেভ করেন। ফলে ৯০ মিনিট পর্যন্ত দুটো দলই গোলশূন্য অবস্থায় ছিল। কিন্তু ৯১ মিনিটে ছাংতের পাস থেকে বিপিনের গোল ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। সেই গোলের জন্যই খালি হাতে মাঠে ছাড়ল ময়দানের শতাব্দী প্রাচীন দল।