ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৫: স্টাইলিশ জার্সির টিম আইকন
বোধন পর্ব শেষ। দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে প্রস্তুত ১৪টি দল। একুশ শতকের চতুর্থ বিশ্বকাপে ক্রিকেট আর শুধুই খেলা নয়, জুরে রয়েছে ফ্যাশন, গ্ল্যামারও। জার্সির ডিজাইনও যেখানে আলোচনার কেন্দ্রে। দেখে নেবো জার্সির বিচারে মোস্ট স্টাইলিশ টিম কোনটা। আর কোন টিম পারলো না পাল্লা দিতে।
ওয়েব ডেস্ক: বোধন পর্ব শেষ। দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে প্রস্তুত ১৪টি দল। একুশ শতকের চতুর্থ বিশ্বকাপে ক্রিকেট আর শুধুই খেলা নয়, জুরে রয়েছে ফ্যাশন, গ্ল্যামারও। জার্সির ডিজাইনও যেখানে আলোচনার কেন্দ্রে। দেখে নেবো জার্সির বিচারে মোস্ট স্টাইলিশ টিম কোনটা। আর কোন টিম পারলো না পাল্লা দিতে।
২৪ ঘণ্টার বিচারে স্টাইলিশ টিম-
১. দক্ষিণ আফ্রিকা- একদিনের টিমের বিচারে তৃতীয় স্থানে থাকলেও জার্সির বিচারে মোস্ট স্টাইলিশ টিম কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা। ভাইব্র্যান্ট রঙই এই প্রজন্মের ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। উজ্জ্বল সবুজের সঙ্গে ক্রোম হলুদের কম্বিনেশনের জার্সি পছন্দের তালিকায় থাকবেই। সঙ্গে পাতলা কালোর স্ট্রিপ নিয়ে এসেছে এক আনকমন কম্বিনেশন।
২. স্কটল্যান্ড- বহু দলের গাঢ় রঙের পাশে স্টটল্যান্ডের ধূসর নীল যেন চোখের আরাম। মাঠের উজ্জ্বল সবুজের সঙ্গে ধূসর নীল যেমন মানানসই, তেমনই যে কোনও প্রতিপক্ষ দলের উজ্জ্বল সবুজ, হলুদ, নীল বা লালের পাশেও দিব্যি কনট্রাস্ট আনবে এই ধূসর নীল।
৩. ইংল্যান্ড- নীল জার্সির বদলে ইংল্যান্ডের কালো জার্সি এবার চোখ টানবেই। ভাবছেন নিউ জিল্যান্ডের জার্সিওতো কালো? মনে রাখবেন, ইংল্যান্ডের জার্সির সেরা সংযোজন উজ্জ্বল কমলা স্ট্রাইপ। কারণ, ২০১৫ সালের কলর অফ দ্য সিজন অবশ্যই কমলা। আর কে না জানে কমলা সবথেকে ভালো খোলে কালোর সঙ্গেই!
৪. ভারত- ভারতের জার্সিও তালিকায় উপরের দিকে থাকার কারণ জার্সির কমলা রঙ। নেভি ব্লু-র সঙ্গে কমলা রঙের উজ্জ্বল কম্বিনেশন কনট্রাস্ট করতে জার্সিতে রয়েছে ধূসর রঙের ব্যবহার। এই ধূসরই ভারতের জার্সির স্টাইলিশ ফ্যাক্টর। আর কোনও দেশের জার্সিতেই তিন রঙের মিশেল এইভাবে ফুটে ওঠেনি।
৫. জিম্বাবোয়ে- টমেটো রঙের সঙ্গে সাদা, কালো। কম্বিনেশনে রয়েছে ভারতীয় ছোঁয়া। সাদা-কালোর সনাতনী জুটিতে টমেটো লালের ছোঁয়া নিয়ে এসেছে স্পোর্টি কাম প্যাশনেট লুক।
৬. বাংলাদেশ- জার্সিতে তেমন বিশেষত্ব না থাকলেও ষষ্ঠ স্থানে থাকবে বাংলাদেশ। একটাই কারণ, ঔজ্জ্বল্য ও বৈপরীত্য। সবুজ-লালের বৈপরীত্যের খেলা কোনওদিন পুরনো হয় না। সেই বৈপরীত্যই তুলে ধরেছে বাংলাদেশ নিজেদের জার্সিতে। সঙ্গে সাদায় লেখা দেশের নাম যোগ্য সঙ্গত করেছে এই দুই বীপরিত রঙের খেলায়।
৭. আফগানিস্তান- এই বছরই প্রথম বিশ্বকাপের ময়দানে নামছে আফগানিস্তান। হাই প্রোফাইল দল নয়, হাই প্রোফাইল প্লেয়ারও নেই। তবে জার্সির ডিজাইনে অনেক দলকেই পিছনে ফেলে দিয়েছে আফগানিস্তান। নীল যদিও খেলার মাঠে প্রচলিত রঙ, তবু উজ্জ্বল নীলের সঙ্গে উজ্জ্বল কমলা ও উজ্জ্বল সবুজের কম্বিনেশন যে একেবারেই নতুন। দলের গায়ে য়েমন নতুনের গন্ধ, তেমনই অসাধারণ রঙের বৈপরীত্যে জার্সিও তারুণ্যে ভরপুর।
৮. নিউ জিল্যান্ড- জার্সিতে নেই কোনও নতুনত্ব। চিরকালীন কালো-ধূসরের মিশেল এবারও রয়েছে নিউ জিল্যান্ডের জার্সিতে। আর সেই স্পোর্টসম্যান লুকই স্মার্ট নিউজিল্যান্ড টিমকে দিয়েছে নিজেদের সিগনেচার স্টাইল।
৯. অস্ট্রেলিয়া- একদিনের ক্রিকেটের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম স্থানে থাকলেও সেই একই রঙের কম্বিনেশনে জার্সির বিচারে অস্ট্রেলিয়া নবম স্থানের উপরে উঠতে পারবে না। সবুজ, হলুদ রঙের পুরনো কম্বিনেশন এখন বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে।
১০. শ্রীলঙ্কা- অস্ট্রেলিয়ার মতোই দশা শ্রীলঙ্কারও। দীর্ঘদিন একই রঙের কম্বিনেশনে এসেছে একঘেয়েমি। তাই উজ্জ্বল রঙের বৈপরীত্য জার্সিতে থাকা সত্ত্বেও বেশিদূর এগোতে পারলো না গতবারের রানার্স।
১১. পাকিস্তান- দলের মতোই জার্সির স্টাইলেও পাকিস্তান এবারের বিশ্বকাপে বেশ ব্যাকফুটে। একদিনের র্যাঙ্কিংয়ে সপ্তম স্থানে প্রায় সব হাই প্রোফাইল দলের পিছনে থেকে বিশ্বকাপে নামছে পাকিস্তান। সেইসঙ্গেই, জার্সির সেই একই সবুজ, হলুদে চোখ টানার মতো কিছুই নেই। সবুজে নেই ঔজ্জ্বল্যও।
১২. ওয়েস্ট ইন্ডিজ- অনেক রঙের ব্যবহার রয়েছে জার্সিতে। মেরুন, কমলা, সাদা, নীল, সবুজ। কিন্তু কোনও রঙই যেন মিশ খায়নি, তৈরি করেনি প্রশংসনীয় বৈপরীত্যও। বরং পুরো ব্যাপারটাতেই কেমন যেন তাল কেটে গিয়েছে। তাই সবথেকে রঙিন জার্সি হওয়া সত্ত্বেও ১২ নম্বরের আগে রাখা গেল না ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
১৩. আয়ারল্যান্ড- জার্সিতে নেই কোনও বৈচিত্র। নেই উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারও। হালকা সবুজের সঙ্গে সাদার ব্যবহার তৈরি করেনি কোনও উল্লেখযোগ্য বৈচিত্র। বরং কিছুটা মিসম্যাচ এই কম্বিনেশন।
১৪. সংযুক্ত আরব আমিরশাহী- খেলার মাঠের পোশাক যেখানে চাইছে রঙ, ক্রিম সাদা যেন একেবারেই বেমানান। সঙ্গে সাদা, কালো জার্সিকে স্পোর্টি লুক দেওয়ার বদলে দিয়েছে কর্পোরেট লুক। যা কোনওভাবেই খাপ খায় না বিশ্বকাপের মুডের সঙ্গে। তারওপর সাদা ক্রিকেট টেস্ট ম্যাচের রঙ। একদিনের সেরার সেরা প্রতিযোগিতার ময়দানে তা সত্যিই ম্যাড়ম্যাড়ে।