বিরাট কোহলির উইকেট! জীবন পাল্টে গেল অখ্যাত ওয়াল্টারের
পল ওয়াল্টার খেলেন ইংল্যান্ডের এসেক্সের হয়ে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : এমনিতেই সারা বিশ্বে বেশ নাম-ডাক রয়েছে ব্রিটিশ মিডিয়ার। সেই বিখ্যাত ব্রিটিশ মিডিয়া এখন তাঁর পিছনে পাগলের মতো ছুটছে। কে তিনি? পল ওয়াল্টার। এই নামের কোনও ক্রিকেটারের কথা শুনেছেন কখনও? না শোনারই কথা। কারণ, বিশ্ব ক্রিকেটে এখনও পল ওয়াল্টার তেমন বিখ্যাত কোনও নাম নয়। তবে এবার তিনি এমন একটা কাজ করে বসলেন যে ক্রিকেটের দুনিয়ায় তাঁর পরিচয় প্রচার পেতে পারে।
আরও পড়ুন- এদেশে সচিনের থেকেও বেশি শ্রদ্ধেয় ধোনি, বলছে সমীক্ষা
পল ওয়াল্টার খেলেন ইংল্যান্ডের এসেক্সের হয়ে। এসেক্সের পেসার তিনি। সেই ওয়াল্টার ভারতের বিরুদ্ধে একখানা জবর কাজ করে ফেললেন। তিনি বিরাট কোহলির উইকেট নিলেন। ব্যস, তার পর থেকে গোটা ইংল্যান্ড তাঁকে চিনতে শুরু করল। আর হঠাত্ করেই প্রচারের আলোয় এসে ওয়াল্টার বললেন, ''বিশ্বাস করুন আমি এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না। বিরাট কোহলির উইকেট আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার।'' তিনদিনের ওয়ার্ম-আপ টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনই বিরাটকে ভুল শট খেলতে বাধ্য করান ওয়াল্টার। তাঁর ডেলিভারি খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বসেন ভারতীয় অধিনায়ক।
আরও পড়ুন- এবি ডেভিলিয়ার্সের পর এবার অবসরের পথে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিডস্টার ডেল স্টেইন
২০১৪ ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে চূড়ান্ত খারাপ পারফরম্যান্স করেছিলেন বিরাট। তাই এবার বিরাটের উপর চাপ অনেক বেশি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে বিরাট অবশ্য বেশ ছন্দেই দেখাচ্ছিল ভারতীয় অধিনায়ককে। এসেক্সের বিরুদ্ধে ভারতীয় ইনিংসকেও রক্ষা করলেন তিনি। একটা সময় পাঁচ রানে দুই উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। তার পর ৪৪ রানে তিন উইকেট। পাঁচ নম্বরে নেমে মুরলী বিজয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতীয় ইনিংস টেনে নিয়ে যান বিরাট। ৯৩ বল খেলে করলেন ৬৮। ১২টা বাউন্ডারির সৌজন্যে। কিন্তু শেষমেশ ওয়াল্টারের একখানা আউট সুইং ডেলিভারিতে ধরা দেন তিনি। এর পর ইনিংস টেনে নিয়ে যান কেএল রাহুল ও ও দীনেশ কার্তিক। প্রথমদিনে ভারত ৮৪ ওভার ব্যাট করে। প্রথম দিন খেলার শেষে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত বার্মি আর্মি বিরাট কোহলিকে বর্ষসেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের সম্মান দেয়।
আরও পড়ুন- হাতে চোট, প্রথম টেস্টে অশ্বিনের খেলা নিয়ে সংশয়!
২০১৪-তে ২৬টা একদিনের ম্যাচ খেলে বিরাটের রান ছিল ১৪৬০। ব্যাটিং গড় ৭৬.৮৪। ছটা সেঞ্চুরি ও সাতটা হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট। ওই বছরই ১০টা টেস্ট খেলে কোহলি করেছিলেন ১০৫৯। সেই বছর টেস্টে স্টিভ স্মিথ সর্বোচ্চ রান করেছিলেন (১৩০৫)।